ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

৬ কোটি ডোজ টিকা ফেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, যথাযথ মান নিশ্চিত করে টিকা সংরক্ষণ না করায় জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার জনসনের দুই ব্যাচের ১ কোটি করোনার ভ্যাকসিনের টিকা প্রয়োগের জন্য অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের প্ল্যান্টে উৎপাদিত টিকাকে এখনই অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এর আগে এপ্রিল মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন বাল্টিমোর সাইটে টিকার উৎপাদন বন্ধ করেছিল এফডিএ। কারণ সেই একই সাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপরকরণের উৎপাদন চলছিল। যার ফলে জনসনের টিকার সেই ব্যাচে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ মিশে তা নষ্ট করে দিয়েছিল। এই বিষয় দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফিলাডেলফিয়াতে মজুত রাখা জনসন অ্যান্ড জনসনের ৪২ হাজার ডোজের মেয়াদ শেষের দিকে। এছাড়া পেনসিলভেনিয়া, ওহাও, ওকলাহোমা, আরাকানসাসেও প্রচুর টিকার ডোজ মজুত রয়েছে যেগুলোর মেয়াদও শিগগিরই শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ২ কোটি ১৪ লাখ ডোজের মাত্র অর্ধেক জনগণকে দেয়া হয়েছে। এর আগে গতমাসে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রবার্ট ক্রেমার জানিয়েছিলেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রায় ১০ কোটি টিকা এফডিএর রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এই টিকার অধিকাংশ রফতানির জন্য রাখা রয়েছে বলা জানা গেছে। সেগুলো ইতোমধ্যেই শিশিতে ভরা হয়েছে। তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার মান নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আরো দুটি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত পরিমাণ ডোজ রয়েছে যা ফাইজার এবং মডার্নার কাছ থেকে অনুমোদিত।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে ১১ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র দরিদ্র দেশগুলোতে বিতরণের জন্য ফাইজারের দুটি ব্যাচে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। আশা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সপ্তাহে জি -৭ বৈঠকে এটি ঘোষণা করবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ কোটি ডোজ টিকা ফেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, যথাযথ মান নিশ্চিত করে টিকা সংরক্ষণ না করায় জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার জনসনের দুই ব্যাচের ১ কোটি করোনার ভ্যাকসিনের টিকা প্রয়োগের জন্য অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের প্ল্যান্টে উৎপাদিত টিকাকে এখনই অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এর আগে এপ্রিল মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন বাল্টিমোর সাইটে টিকার উৎপাদন বন্ধ করেছিল এফডিএ। কারণ সেই একই সাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপরকরণের উৎপাদন চলছিল। যার ফলে জনসনের টিকার সেই ব্যাচে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ মিশে তা নষ্ট করে দিয়েছিল। এই বিষয় দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফিলাডেলফিয়াতে মজুত রাখা জনসন অ্যান্ড জনসনের ৪২ হাজার ডোজের মেয়াদ শেষের দিকে। এছাড়া পেনসিলভেনিয়া, ওহাও, ওকলাহোমা, আরাকানসাসেও প্রচুর টিকার ডোজ মজুত রয়েছে যেগুলোর মেয়াদও শিগগিরই শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ২ কোটি ১৪ লাখ ডোজের মাত্র অর্ধেক জনগণকে দেয়া হয়েছে। এর আগে গতমাসে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রবার্ট ক্রেমার জানিয়েছিলেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রায় ১০ কোটি টিকা এফডিএর রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এই টিকার অধিকাংশ রফতানির জন্য রাখা রয়েছে বলা জানা গেছে। সেগুলো ইতোমধ্যেই শিশিতে ভরা হয়েছে। তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার মান নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আরো দুটি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত পরিমাণ ডোজ রয়েছে যা ফাইজার এবং মডার্নার কাছ থেকে অনুমোদিত।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে ১১ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র দরিদ্র দেশগুলোতে বিতরণের জন্য ফাইজারের দুটি ব্যাচে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। আশা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সপ্তাহে জি -৭ বৈঠকে এটি ঘোষণা করবেন।