ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

‘শিশু বক্তা’ মাদানীর আপিল শুনানি হাইকোর্টে

  • আপডেট সময় : ০১:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন চেয়ে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সপ্তাহে এ আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি আপিল করা হয় বলে জানান তিনি। রফিকুল ইসলাম মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন নামঞ্জুর হয়। এছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকার জেলা জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর হয়।
আইনজীবী বলেন, বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছি। আপিলে রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন চাওয়া হয়েছে।
‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৭) বিরুদ্ধে গত ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদরাসায় বসে নাশকতামূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনা করেন রফিকুল ইসলাম। এছাড়া কয়েকজন বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রফিকুল। পরে ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়। গত ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের গাছা ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এর আগেও মামলাগুলোতে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

‘শিশু বক্তা’ মাদানীর আপিল শুনানি হাইকোর্টে

আপডেট সময় : ০১:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন চেয়ে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সপ্তাহে এ আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি আপিল করা হয় বলে জানান তিনি। রফিকুল ইসলাম মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন নামঞ্জুর হয়। এছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকার জেলা জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর হয়।
আইনজীবী বলেন, বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছি। আপিলে রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন চাওয়া হয়েছে।
‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৭) বিরুদ্ধে গত ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদরাসায় বসে নাশকতামূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনা করেন রফিকুল ইসলাম। এছাড়া কয়েকজন বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রফিকুল। পরে ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়। গত ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের গাছা ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এর আগেও মামলাগুলোতে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।