ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ধর্ষণ করে ভিডিও করা মামলায় চার আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন, খালাস ২

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করার দায়ে ছয় আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং দুইজনকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।
মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেয়। আসামিদের মধ্যে আশিকুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া, মো. রুমিন ও মো. রবিনের মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। আর আসামি মো. ইব্রাহিম ও আবদুর রহমান মৃত্যুদ- থেকে খালাস পেয়েছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
২০১৩ সনের ২৩ মে প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক (২০) কর্মস্থল থেকে বাগপাড়া গ্রামে কোম্পানির মেসে ফিরছিলেন। পথে জনতা জুট মিল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তাকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। ওই নারী পরদিন বিষয়টি প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে জানান। পরে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন এসআই বিপ্লব কুমার দত্ত ২০১৩ সালে ১৫ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট ছয় আসামিকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ। তাদের মধ্যে দুজন এখন খালাস পেলেন, চারজনের সাজা কমে গেল।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণ করে ভিডিও করা মামলায় চার আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন, খালাস ২

আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করার দায়ে ছয় আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং দুইজনকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।
মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেয়। আসামিদের মধ্যে আশিকুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া, মো. রুমিন ও মো. রবিনের মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। আর আসামি মো. ইব্রাহিম ও আবদুর রহমান মৃত্যুদ- থেকে খালাস পেয়েছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
২০১৩ সনের ২৩ মে প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক (২০) কর্মস্থল থেকে বাগপাড়া গ্রামে কোম্পানির মেসে ফিরছিলেন। পথে জনতা জুট মিল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তাকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। ওই নারী পরদিন বিষয়টি প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে জানান। পরে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন এসআই বিপ্লব কুমার দত্ত ২০১৩ সালে ১৫ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট ছয় আসামিকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ। তাদের মধ্যে দুজন এখন খালাস পেলেন, চারজনের সাজা কমে গেল।