ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সাজেকে হচ্ছে নতুন সীমান্ত হাট

  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য মিজোরাম সীমান্তে একটি সীমান্ত হাট স্থাপন করা হবে। মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা সাজেকে এই বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে মিজোরাম প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানা মিজোরামের কনফারেন্স হলে একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্ট স্বাক্ষর করে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্যসহ চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন পণ্য মিজোরামে রফতানি করা সম্ভব। সেখানে এসব পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। একইসঙ্গে মিজোরামের পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ, বিখ্যাত বাঁশ ইত্যাদি বাংলাদেশে আমদানি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে একটি বর্ডার হাট স্থাপনের ফলে মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং সম্প্রসারিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নৌপথ ব্যবহার করে মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন এবং বাণিজ্যবৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যে সকল সমস্যা ও করণীয় রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
এ সময় ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানা বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করে উভয় দেশের মালামাল পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এখানে বর্ডার হাট স্থাপন করা হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত ২২ এপ্রিল মিজোরাম সফরে যান। এসময় তিনি মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ডার হাট স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। উভয় দেশের সীমান্ত এলাকার সিলসুরি-সাজেক এলাকা পরিদর্শন করেন। মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩১৮ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সাজেকে হচ্ছে নতুন সীমান্ত হাট

আপডেট সময় : ০১:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য মিজোরাম সীমান্তে একটি সীমান্ত হাট স্থাপন করা হবে। মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা সাজেকে এই বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে মিজোরাম প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানা মিজোরামের কনফারেন্স হলে একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্ট স্বাক্ষর করে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্যসহ চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন পণ্য মিজোরামে রফতানি করা সম্ভব। সেখানে এসব পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। একইসঙ্গে মিজোরামের পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ, বিখ্যাত বাঁশ ইত্যাদি বাংলাদেশে আমদানি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে একটি বর্ডার হাট স্থাপনের ফলে মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং সম্প্রসারিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নৌপথ ব্যবহার করে মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন এবং বাণিজ্যবৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যে সকল সমস্যা ও করণীয় রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
এ সময় ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানা বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করে উভয় দেশের মালামাল পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহ রয়েছে। এখানে বর্ডার হাট স্থাপন করা হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত ২২ এপ্রিল মিজোরাম সফরে যান। এসময় তিনি মিজোরাম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ডার হাট স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। উভয় দেশের সীমান্ত এলাকার সিলসুরি-সাজেক এলাকা পরিদর্শন করেন। মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩১৮ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে।