ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগ

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে; যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। এরফলে ব্যবসায়িক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্ভব বলে মনে করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাশফি বিনতে শামস বলেন, ১৯৭২ সাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের’ (পিআইডব্লিউটিটি) অধীনে নদীপথে বাণিজ্য হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে ওই চুক্তির সংশোধন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের নতুন সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সময়ে পোর্ট অফ কল ও নদীপথের রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এই সুবিধা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আসামের সঙ্গে নদীপথে কানেক্টিভিটির বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বরিশাল হয়ে যমুনা নদী দিয়ে আসামের ধুবরি পর্যন্ত জলপথে বাণিজ্য বৃদ্ধি হলে উভয়পক্ষের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যোগাযোগ বৃদ্ধি হলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ অনেকটাই কমে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌপথে পরিবহন খরচ সবচেয়ে কম, ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ অনেকটাই কমে আসবে। বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে যে নৌযান ব্যবহার করা হয় সেটির প্রায় ৯০ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশের বলেও জানান মাশফি বিনতে শামস।
প্রয়োজনীয় অবকাঠামো : নদীপথে আন্তরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন হয়। এরমধ্যে এ সংক্রান্ত নিয়ম নীতির পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংরক্ষণ, নৌযানের মসৃণ চলাচলের জন্য দক্ষ নাবিক, বন্দর উন্নয়ন, সহজ কাস্টম ক্লিয়ারেন্সসহ আরও বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে সচিব মাশফি বলেন, এ বিষয়ে আগেও অনেক কাজ হয়েছে এবং এখনও কাজ চলমান রয়েছে। নদীর নাব্যতা রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নদীগুলোতে সময়ে-সময়ে ড্রেজিং করা হচ্ছে। বন্দর উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ বন্দর নির্মাণ কাজ চলছে এবং অন্যান্য বন্দরগুলোও উন্নয়ন করা হচ্ছে বা হবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা : পিআইডব্লিউটিটির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে চায় ভুটান। সচিব মাশফি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মাঝখানে ভারতের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। ভুটান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পর্যন্ত মাল পণ্য আনার পরে নদীপথে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া করতে আগ্রহী। এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, নদীপথে বিভিন্ন সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে আরও কাজ করছে সরকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ-ভারত নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগ

আপডেট সময় : ০১:০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে; যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। এরফলে ব্যবসায়িক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্ভব বলে মনে করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাশফি বিনতে শামস বলেন, ১৯৭২ সাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের’ (পিআইডব্লিউটিটি) অধীনে নদীপথে বাণিজ্য হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে ওই চুক্তির সংশোধন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের নতুন সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সময়ে পোর্ট অফ কল ও নদীপথের রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এই সুবিধা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আসামের সঙ্গে নদীপথে কানেক্টিভিটির বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বরিশাল হয়ে যমুনা নদী দিয়ে আসামের ধুবরি পর্যন্ত জলপথে বাণিজ্য বৃদ্ধি হলে উভয়পক্ষের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যোগাযোগ বৃদ্ধি হলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ অনেকটাই কমে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌপথে পরিবহন খরচ সবচেয়ে কম, ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ অনেকটাই কমে আসবে। বাণিজ্যের জন্য বর্তমানে যে নৌযান ব্যবহার করা হয় সেটির প্রায় ৯০ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশের বলেও জানান মাশফি বিনতে শামস।
প্রয়োজনীয় অবকাঠামো : নদীপথে আন্তরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন হয়। এরমধ্যে এ সংক্রান্ত নিয়ম নীতির পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংরক্ষণ, নৌযানের মসৃণ চলাচলের জন্য দক্ষ নাবিক, বন্দর উন্নয়ন, সহজ কাস্টম ক্লিয়ারেন্সসহ আরও বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে সচিব মাশফি বলেন, এ বিষয়ে আগেও অনেক কাজ হয়েছে এবং এখনও কাজ চলমান রয়েছে। নদীর নাব্যতা রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নদীগুলোতে সময়ে-সময়ে ড্রেজিং করা হচ্ছে। বন্দর উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ বন্দর নির্মাণ কাজ চলছে এবং অন্যান্য বন্দরগুলোও উন্নয়ন করা হচ্ছে বা হবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা : পিআইডব্লিউটিটির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে চায় ভুটান। সচিব মাশফি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মাঝখানে ভারতের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। ভুটান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পর্যন্ত মাল পণ্য আনার পরে নদীপথে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া করতে আগ্রহী। এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, নদীপথে বিভিন্ন সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে আরও কাজ করছে সরকার।