ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে কোভ্যাক্স

  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সঙ্কট কাটাতে যে টিকা এখন বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন সেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১০ লাখ ৮০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়ার সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় আমরা শিগগিরই ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছি।’
কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ১ জুন বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে, তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার উদ্যোগ নিলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনে রাখলেও তা ব্যবহার করছিল না তাদের হাতে অন্য টিকা থাকার কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি। ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে কিছু পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনকে। সে হিসাবে দুই ডোজ করে দিতে হলে টিকা প্রয়োজন ১ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ১৫ ডোজ। সরকারের হাতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে। সাধারণভাবে ১ শতাংশ টিকা পরিবহন, সংরক্ষণের সময় নষ্ট হয় বলে ধরা হয়। সে হিসাবে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হলে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১৫ ডোজ টিকা দরকার। কোভ্যাক্স থেকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ পেলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও কিছু টিকা বাংলাদেশের দরকার হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে কোভ্যাক্স

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সঙ্কট কাটাতে যে টিকা এখন বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন সেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১০ লাখ ৮০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়ার সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় আমরা শিগগিরই ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছি।’
কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ১ জুন বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে, তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার উদ্যোগ নিলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনে রাখলেও তা ব্যবহার করছিল না তাদের হাতে অন্য টিকা থাকার কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি। ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে কিছু পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনকে। সে হিসাবে দুই ডোজ করে দিতে হলে টিকা প্রয়োজন ১ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ১৫ ডোজ। সরকারের হাতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে। সাধারণভাবে ১ শতাংশ টিকা পরিবহন, সংরক্ষণের সময় নষ্ট হয় বলে ধরা হয়। সে হিসাবে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হলে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১৫ ডোজ টিকা দরকার। কোভ্যাক্স থেকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ পেলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও কিছু টিকা বাংলাদেশের দরকার হবে।