ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

রমজান হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাস

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পবিত্র মাহে রমজানের আজ বাইশতম দিবস। একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের দিনগুলো। আর মাত্র ৭/৮ দিন আছে এই বরকতময় মাসের। এ মাসে মুসলিম মিল্লাত আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করেছেন এখলাসের সাথে। সকল প্রকার ইবাদত, আনুগত্য ও নেক কাজ কবুলের জন্য শর্ত হলো ইখলাস। ইখলাস ছাড়া যে কোন কাজ এমনকি নেক আমলও ধ্বংস টেনে আনে।
এখলাস অর্থ হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির উদ্দেশ্য নেক কাজ করা। অন্য কোন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেক কাজ করা যাবে না। সাময়িক ও জাগতিক স্বার্থে কিংবা কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল, সম্প্রদায়, সংস্থা ও কোন নেক লোকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য কোন নেক কাজ করা যাবে না। আল্লাহকে সন্তষ্ট করলে বান্দাগণও সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। বান্দাকে সন্তষ্ট করার মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তষ্ট করা যাবে না। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন মাধ্যমকে সন্তুষ্টি করার টার্গেট করা যাবে না। কোরআন, হাদীস এবং ইসলামী শরীয়ত ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আর কোন উসিলা নেই। কোন নেক ব্যাক্তির কবর, আস্তানা, দেবতা, পুরোহিত এবং দরবেশ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম হতে পারে না। তাদের কাছ থেকে ইসলামের বিপরীত নয় এমন সব শিক্ষাই শুধু গ্রহণ করা যেতে পারে, এর বেশী নয়। কোরআন ও হাদীসের বর্ণিত পন্থায়ই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।
রমজান হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাস। তাই রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও কেবলমাত্র সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেন। এখানে কেবলমাত্র সওয়াবের কথা বলার উদ্দেশ্য হলো, এখলাসের সাথে রোজা রাখতে হবে। সওয়াব ও আল্লাহর সন্তষ্টি এবং পরকালের মুক্তির নিয়ত ছাড়া রোজা রাখার পেছনে আর কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। যেখানে এখলাস ও একনিষ্ঠতা থাকবে সেখানে ‘রিয়া’ বা লোক দেখানোর মনোভাব থাকতে পারবে না। লোক দেখানোর উদ্দেশ্য কোন নেক কাজ করলে আল্লাহ তা কবুল করেন না। রমজানের রোজা আমাদেরকে লোক দেখানোর মনোবৃত্তি দূর করার ট্রেনিং দেয়। যে কোন এবাদত অন্য লোক দেখতে পায়। যেমন- নামাজ, যাকাত, হজ্জ, কোরআন পাঠ ইত্যাদি। এমনকি গোপনে দান করলেও দাতা এবং দান গ্রহীতা কমপক্ষে দুই ব্যক্তি জানতে পারে। কিন্তু রোজার বিষয়টি বান্দা ও আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানতে পারে না। কেউ রোজার মাসে গোপনে কিছু খেলে, কিংবা পানিতে ডুব দিয়ে পানি পান করলে কারুর দেখার সাধ্য নেই। একমাত্র আল্লাহর ভয় এবং তার সন্তুষ্টির জন্যই মানুষ রোজা রাাখে। সেখানে লোক দেখানোর উদ্দেশ্য নয় বরং এখলাসের ভিত্তিতে পুরস্কার লাভ করাই উদ্দেশ্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রমজান হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাস

আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : পবিত্র মাহে রমজানের আজ বাইশতম দিবস। একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের দিনগুলো। আর মাত্র ৭/৮ দিন আছে এই বরকতময় মাসের। এ মাসে মুসলিম মিল্লাত আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করেছেন এখলাসের সাথে। সকল প্রকার ইবাদত, আনুগত্য ও নেক কাজ কবুলের জন্য শর্ত হলো ইখলাস। ইখলাস ছাড়া যে কোন কাজ এমনকি নেক আমলও ধ্বংস টেনে আনে।
এখলাস অর্থ হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির উদ্দেশ্য নেক কাজ করা। অন্য কোন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেক কাজ করা যাবে না। সাময়িক ও জাগতিক স্বার্থে কিংবা কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল, সম্প্রদায়, সংস্থা ও কোন নেক লোকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য কোন নেক কাজ করা যাবে না। আল্লাহকে সন্তষ্ট করলে বান্দাগণও সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। বান্দাকে সন্তষ্ট করার মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তষ্ট করা যাবে না। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন মাধ্যমকে সন্তুষ্টি করার টার্গেট করা যাবে না। কোরআন, হাদীস এবং ইসলামী শরীয়ত ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আর কোন উসিলা নেই। কোন নেক ব্যাক্তির কবর, আস্তানা, দেবতা, পুরোহিত এবং দরবেশ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম হতে পারে না। তাদের কাছ থেকে ইসলামের বিপরীত নয় এমন সব শিক্ষাই শুধু গ্রহণ করা যেতে পারে, এর বেশী নয়। কোরআন ও হাদীসের বর্ণিত পন্থায়ই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।
রমজান হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাস। তাই রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও কেবলমাত্র সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেন। এখানে কেবলমাত্র সওয়াবের কথা বলার উদ্দেশ্য হলো, এখলাসের সাথে রোজা রাখতে হবে। সওয়াব ও আল্লাহর সন্তষ্টি এবং পরকালের মুক্তির নিয়ত ছাড়া রোজা রাখার পেছনে আর কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। যেখানে এখলাস ও একনিষ্ঠতা থাকবে সেখানে ‘রিয়া’ বা লোক দেখানোর মনোভাব থাকতে পারবে না। লোক দেখানোর উদ্দেশ্য কোন নেক কাজ করলে আল্লাহ তা কবুল করেন না। রমজানের রোজা আমাদেরকে লোক দেখানোর মনোবৃত্তি দূর করার ট্রেনিং দেয়। যে কোন এবাদত অন্য লোক দেখতে পায়। যেমন- নামাজ, যাকাত, হজ্জ, কোরআন পাঠ ইত্যাদি। এমনকি গোপনে দান করলেও দাতা এবং দান গ্রহীতা কমপক্ষে দুই ব্যক্তি জানতে পারে। কিন্তু রোজার বিষয়টি বান্দা ও আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানতে পারে না। কেউ রোজার মাসে গোপনে কিছু খেলে, কিংবা পানিতে ডুব দিয়ে পানি পান করলে কারুর দেখার সাধ্য নেই। একমাত্র আল্লাহর ভয় এবং তার সন্তুষ্টির জন্যই মানুষ রোজা রাাখে। সেখানে লোক দেখানোর উদ্দেশ্য নয় বরং এখলাসের ভিত্তিতে পুরস্কার লাভ করাই উদ্দেশ্য।