ক্রীড়া প্রতিবেদক : খালেদ মাহমুদ সুজনের হাত ধরে আবাহনী লিমিটেড ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিনবারের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন দৌড়ে খানিকটা পিছিয়ে তার দল। ১০ ম্যাচ ৭ জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ১৪। অন্যদিকে শিরোপার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে শেখ জামাল। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকায় আবাহনীর কাছাকাছি থাকতে পারেননি তিনি। তবে সুপার লিগে শুরু থেকেই থাকবেন। এবারও শিরোপা জিততে মুখিয়ে খালেদ মাহমুদ। তবে কাজটা কঠিন বলতে দ্বিধা করেননি চ্যাম্পিয়ন কোচ, ‘আমরা একটু পিছিয়ে আছি, দুটো ম্যাচ পিছিয়ে আছি হয়তোবা। তবে আমি মনে করি আবাহনী সেরা দল। আমরা প্রথম অংশে ভালো খেলিনি।’
শিরোপা জিততে সুপার লিগের প্রতিটি ম্যাচে জয় চাই আবাহনীর। পাশাপাশি হারতে হবে শেখ জামালকেও। এখনও আশা ছাড়ছেন না খালেদ মাহমুদ। তার বিশ্বাস, আবাহনী আবাহনীর মতো করে খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। তার ভাষ্য, ‘আমরা তো হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়েছিলাম। লক্ষ্য এখনও সেটাই আছে। আমাদের আরও ৫টা ম্যাচ খেলতে হবে। কাল প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ। যদি জিততে হয় তাহলে সব ম্যাচই জিততে হবে। শেষ ম্যাচে আমরা প্রাইমের সঙ্গে জিতেছি। আমি দেখেছিলাম ম্যাচটা আবাহনী আবাহনীর মতোই খেলেছে। আবাহনী এরকম খেললে সব সময়ই জিতে।’ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ফিরে আসায় আত্মবিশ্বাস বাড়ছে কোচের। পাশাপাশি হনুমা বিহারীর পরিবর্তে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আসায় খুশি খালেদ মাহমুদ, ‘এখন লিটন, শান্ত, জয়, শহিদুল অনেকেই চলে আসছে। আবার বিহারিকে বদল করে ধনঞ্জয়াকে নিয়ে এসেছি, যেহেতু আমদের অলরাউন্ডারের অভাব আছে দলে।’ শেখ জামাল শিরোপার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। সুপার লিগে ৩টি ম্যাচ জিতলে তারা চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে শেখ জামাল হারলেই লিগ জমে উঠবে। তখন সব দলেরই সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। খালেদ মাহমুদ এমন কিছুরই প্রত্যাশা করছেন, ‘৪ পয়েন্টের ব্যবধান হলে আমরা শেখ জামালকে কন্ট্রোল করতে পারব। আমরা যদি ওদের হারাইও, আমরা ৫ ম্যাচ জিতলেই যে চ্যাম্পিয়ন হবো এমন কিছু না। এখানে শেখ জামালকেও অন্য ম্যাচে হারতে হবে। শেখ জামালের কি হবে সেটা আমি কন্ট্রোল করতে পারবো না। আমি শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের সেরাটা দিতে পারি, এটাই। প্রতি ম্যাচ জেতার জন্য খেললে অবশ্যই আমদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকবে।’