ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লেও স্বস্তি লেবু-শসায়

  • আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা অন্তত ৫টি। তবে লেবুর দাম কমেছে। কমেছে শসার দামও।
রোজার শুরুতে যে লেবুর হালি ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এখন সেই লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি। আর রোজার শুরুতে যে শসা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, এখন সেই শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
এ প্রসঙ্গে মগবাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, ‘লেবু ও শসা ছাড়া বাকি সব পণ্যের দাম চড়া।’ তিনি উল্লেখ করেন, পাইকারি মোকামে সব ধরনের সবজির দাম বেশি। বিশেষ করে বেগুনের দাম বেশি, সিমের দামও বেশি। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
দাম বেড়েছে আটা-ময়দার
বাজারের তথ্য বলছে, খোলা আটার দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ৩৬ টাকা কেজি দরে যে খোলা আটা পাওয়া যেত, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সেই খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে এই আটার দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো। একইভাবে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে ময়দা ৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, সেই ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।
বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা
বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ সপ্তাহে নতুন করে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই ডালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে মুগ ডাল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মুগ ডালের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের মতো। একইভাবে দেশি আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকার মতো। সরকারের হিসাবে গত এক সপ্তাহে এই আদার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে নতুন দেশি আদা ১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যেত, এখন সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে এলাচ এর দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকার মতো। অর্থাৎ ৬ শতাংশের বেশি। ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে যে এলাচ বিক্রি করেছেন ৩ হাজার টাকা, এ সপ্তাহের সেই এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি।
একইভাবে ধনের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো। অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে ধনে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই ধনে এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির হিসাবে, গত এক সপ্তাহে ধনের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর মানিক নগর এলাকার গোলাম কিবরিয়া কামাল বলেন, ‘কোনও জিনিসের দাম কমেছে এমনটি দেখলাম না। মসলা জাতীয় সব পণ্যের দাম বাড়তি মনে হলো।’
বাড়তি দাম সয়াবিনের
বাজারের তথ্য বলছে, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা লিটার। গত সপ্তাহেও দাম ছিল ১৫২ টাকা লিটার। এ দিকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েই চলেছে। নতুন করে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২ টাকা। গত সপ্তাহে বেড়েছে প্রতি লিটারে তিন টাকার মতো।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহ আগে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এ সপ্তাহে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা দিয়ে।
এদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন। দুই সপ্তাহ আগে ৭৪০ টাকায় ৫ লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও শুক্রবার ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৭৪৫ টাকা দিয়ে।
যদিও গত মাসে সয়াবিন তেলের উৎপাদন, খুচরা ও এমনকি আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সয়াবিনের দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে এই সয়াবিন তেলের দাম।
ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা
গত সপ্তাহে ১৬০ টাকায় এক কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ শতাংশের বেশি।
এছাড়া সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। আর গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে খেজুরের দাম
রমজান মাসের ইফতারিতে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য খেজুর। এই খেজুরের দাম নতুন করে বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০০ টাকা কেজি দরে যে খেজুর পাওয়া যেত, এই সপ্তাহে সেই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি
রোজার আগে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া বেগুনের কেজি এখনও ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে একশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে শিমও। এই দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব ধরনের সবজি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কিছুদিন আগে শিমের কেজি ছিল ৬০ টাকা।
এদিকে, শসার দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সাজনার ডাটা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
এদিকে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার খোলামেলা পোশাকে বিতর্কে জড়ালেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী

বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লেও স্বস্তি লেবু-শসায়

আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা অন্তত ৫টি। তবে লেবুর দাম কমেছে। কমেছে শসার দামও।
রোজার শুরুতে যে লেবুর হালি ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এখন সেই লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি। আর রোজার শুরুতে যে শসা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, এখন সেই শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
এ প্রসঙ্গে মগবাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, ‘লেবু ও শসা ছাড়া বাকি সব পণ্যের দাম চড়া।’ তিনি উল্লেখ করেন, পাইকারি মোকামে সব ধরনের সবজির দাম বেশি। বিশেষ করে বেগুনের দাম বেশি, সিমের দামও বেশি। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
দাম বেড়েছে আটা-ময়দার
বাজারের তথ্য বলছে, খোলা আটার দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ৩৬ টাকা কেজি দরে যে খোলা আটা পাওয়া যেত, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সেই খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে এই আটার দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো। একইভাবে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে ময়দা ৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, সেই ময়দা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।
বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা
বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ সপ্তাহে নতুন করে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই ডালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে মুগ ডাল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মুগ ডালের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের মতো। একইভাবে দেশি আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকার মতো। সরকারের হিসাবে গত এক সপ্তাহে এই আদার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে নতুন দেশি আদা ১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যেত, এখন সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে এলাচ এর দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকার মতো। অর্থাৎ ৬ শতাংশের বেশি। ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে যে এলাচ বিক্রি করেছেন ৩ হাজার টাকা, এ সপ্তাহের সেই এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি।
একইভাবে ধনের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো। অর্থাৎ গত সপ্তাহে যে ধনে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই ধনে এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির হিসাবে, গত এক সপ্তাহে ধনের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর মানিক নগর এলাকার গোলাম কিবরিয়া কামাল বলেন, ‘কোনও জিনিসের দাম কমেছে এমনটি দেখলাম না। মসলা জাতীয় সব পণ্যের দাম বাড়তি মনে হলো।’
বাড়তি দাম সয়াবিনের
বাজারের তথ্য বলছে, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা লিটার। গত সপ্তাহেও দাম ছিল ১৫২ টাকা লিটার। এ দিকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েই চলেছে। নতুন করে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২ টাকা। গত সপ্তাহে বেড়েছে প্রতি লিটারে তিন টাকার মতো।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহ আগে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এ সপ্তাহে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা দিয়ে।
এদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন। দুই সপ্তাহ আগে ৭৪০ টাকায় ৫ লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও শুক্রবার ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৭৪৫ টাকা দিয়ে।
যদিও গত মাসে সয়াবিন তেলের উৎপাদন, খুচরা ও এমনকি আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সয়াবিনের দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে এই সয়াবিন তেলের দাম।
ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা
গত সপ্তাহে ১৬০ টাকায় এক কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ শতাংশের বেশি।
এছাড়া সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। আর গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে খেজুরের দাম
রমজান মাসের ইফতারিতে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য খেজুর। এই খেজুরের দাম নতুন করে বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০০ টাকা কেজি দরে যে খেজুর পাওয়া যেত, এই সপ্তাহে সেই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি
রোজার আগে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া বেগুনের কেজি এখনও ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে একশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে শিমও। এই দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব ধরনের সবজি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কিছুদিন আগে শিমের কেজি ছিল ৬০ টাকা।
এদিকে, শসার দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সাজনার ডাটা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
এদিকে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।