ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

২৩ দিন পর বিদ্যালয়ে ফিরলেন বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় ম-ল

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : ধর্ম অবমাননার মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র ম-ল তাঁর বিদ্যালয়ে ফিরেছেন। ঘটনার তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নিতে তিনি গতকাল বুধবার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ে আসেন।
বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হাই তালুকদারের সঙ্গে ওই কলেজের একটি গাড়িতে করে বিদ্যালয়ে আসেন হৃদয় ম-ল। গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ দিন পর তিনি বিদ্যালয়ে এলেন। এ সময় পুলিশ বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হাই তালুকদার বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১১ এপ্রিল আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এক সদস্যের কমিটি গঠন করে আমাকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি প্রসিকিউটরদের সঙ্গে কথা বলব। সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করব।’
ইসলামধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র ম-লের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে তাঁর জামিন চাওয়া হয়েছিল। সে সময় আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। ১০ এপ্রিল জামিনে কারামুক্ত হন হৃদয় চন্দ্র ম-ল।
হৃদয় ম-লের গ্রেপ্তারের ঘটনার বিষয়ে বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র ম-ল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েকজন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরদিন সকালে তাঁরা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২৩ দিন পর বিদ্যালয়ে ফিরলেন বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় ম-ল

আপডেট সময় : ০১:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : ধর্ম অবমাননার মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র ম-ল তাঁর বিদ্যালয়ে ফিরেছেন। ঘটনার তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নিতে তিনি গতকাল বুধবার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ে আসেন।
বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হাই তালুকদারের সঙ্গে ওই কলেজের একটি গাড়িতে করে বিদ্যালয়ে আসেন হৃদয় ম-ল। গ্রেপ্তার হওয়ার ২৩ দিন পর তিনি বিদ্যালয়ে এলেন। এ সময় পুলিশ বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হাই তালুকদার বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১১ এপ্রিল আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এক সদস্যের কমিটি গঠন করে আমাকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি প্রসিকিউটরদের সঙ্গে কথা বলব। সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করব।’
ইসলামধর্ম অবমাননার অভিযোগে হৃদয় চন্দ্র ম-লের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে তাঁর জামিন চাওয়া হয়েছিল। সে সময় আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। ১০ এপ্রিল জামিনে কারামুক্ত হন হৃদয় চন্দ্র ম-ল।
হৃদয় ম-লের গ্রেপ্তারের ঘটনার বিষয়ে বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র ম-ল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তাঁর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন হয়। এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েকজন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরদিন সকালে তাঁরা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।