ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমায় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিল নেপাল

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেশ খানিকটা কমে যাওয়ায় গাড়ি, কসমেটিকস, সোনাসহ ‘অত্যাবশ্যকীয় নয়’ এমন পণ্যের আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নেপাল।
পর্যটনে আয় ও বিদেশে কাজ করা নেপালিদের দেশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে যাওয়ায় সরকারি ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ার মধ্যে দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
সম্প্রতি নেপাল সরকার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকেও তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় নেপালের অর্থমন্ত্রী বলছেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা তাকে ‘বিস্মিত করছে’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক’ এর হিসাব অনুযায়ী, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়ে এক দশমিক ১৭ ট্রিলিয়ন নেপালি রুপিতে (৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার) নেমে আসে। একই সময়ে বিদেশে কাজ করা নেপালিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণও প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র নারায়ন প্রসাদ পোখারেল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ‘চাপে আছে’ বলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে।
“প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিতে কিছু পদক্ষেপ দরকার হয়ে পড়েছিল,” বলেছেন তিনি। তবে আগেভাগে পুরো মূল্য পরিশোধ করলে আমদানিকারকদের ৫০টি ‘বিলাসী পণ্য’ আনার অনুমতি দেওয়া হবে। “যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে আমদানি নিষিদ্ধ নয়, অনুৎসাহিত করা হচ্ছে,” বলেছেন পোখারেল।
কয়েকদিন আগে নেপালের সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মাহা প্রসাদ অধিকারীকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়; তবে কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানায়নি তারা।
গত সোমবার নেপালের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, মহামারীর অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে কর্মকর্তারা ব্যয় বাড়ানোয় সরকারি ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৪৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এরপরও দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যকে ‘স্বাভাবিক’বলছে তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমায় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিল নেপাল

আপডেট সময় : ০১:০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেশ খানিকটা কমে যাওয়ায় গাড়ি, কসমেটিকস, সোনাসহ ‘অত্যাবশ্যকীয় নয়’ এমন পণ্যের আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নেপাল।
পর্যটনে আয় ও বিদেশে কাজ করা নেপালিদের দেশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে যাওয়ায় সরকারি ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ার মধ্যে দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
সম্প্রতি নেপাল সরকার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকেও তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় নেপালের অর্থমন্ত্রী বলছেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা তাকে ‘বিস্মিত করছে’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক’ এর হিসাব অনুযায়ী, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়ে এক দশমিক ১৭ ট্রিলিয়ন নেপালি রুপিতে (৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার) নেমে আসে। একই সময়ে বিদেশে কাজ করা নেপালিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণও প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র নারায়ন প্রসাদ পোখারেল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ‘চাপে আছে’ বলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে।
“প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিতে কিছু পদক্ষেপ দরকার হয়ে পড়েছিল,” বলেছেন তিনি। তবে আগেভাগে পুরো মূল্য পরিশোধ করলে আমদানিকারকদের ৫০টি ‘বিলাসী পণ্য’ আনার অনুমতি দেওয়া হবে। “যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে আমদানি নিষিদ্ধ নয়, অনুৎসাহিত করা হচ্ছে,” বলেছেন পোখারেল।
কয়েকদিন আগে নেপালের সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মাহা প্রসাদ অধিকারীকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়; তবে কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানায়নি তারা।
গত সোমবার নেপালের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, মহামারীর অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে কর্মকর্তারা ব্যয় বাড়ানোয় সরকারি ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৪৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এরপরও দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যকে ‘স্বাভাবিক’বলছে তারা।