ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কুমিল্লায় তিন প্রতিষ্ঠানে ৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চার কোটি ১৫ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে কুমিল্লা শহরের ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তদন্ত করে প্রায় ২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির গোপন তথ্য উদঘাটন করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘ভ্যাট গোয়েন্দা কুমিল্লার ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে উদঘাটিত ভ্যাট আদায়ের জন্য মামলা ৩টি সংশ্লিষ্ট কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— কুমিল্লার সুয়াগাজীর ভাটপাড়ার কিষোয়ান স্নাকস্ লিমিটেড, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি এবং বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেড। এর মধ্যে কিষোয়ান স্নাকস্ ও বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি মিষ্টি ও বেকারি পণ্য উৎপাদন করে সারা দেশে সরবরাহ করে এবং একই মালিকানাধীন। এছাড়া ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং প্রতিষ্ঠানটি সামুদ্রিক জাল ও রশি উৎপাদন করে।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি দল গত ১৭ জানুয়ারি ওই ৩ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এসময় ভ্যাট গোয়েন্দারা ভ্যাট ফাঁকির আলামত সংগ্রহ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিক্রির চালান এবং বিক্রির রেজিস্টার জব্দ করা হয়। সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে দেখা যায়, কিষোয়ান স্নাকস্ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটি ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৪ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করে। যেখানে অপ্রদর্শিত মূসকের পরিমাণ ১ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী, মাসিক ২ শতাংশ সুদ আসে ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৭ টাকা। এ ছাড়া বনফুল অ্যান্ড কোম্পানিটি ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরে দাখিলপত্রে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২৯ টাকা কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করে। যার ওপর প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সুদ প্রযোজ্য ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৬ টাকা। একইভাবে ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেডের ২০২০ সালের জানুয়ারি ও গত ডিসেম্বরে জব্দ করা নথি অনুযায়ী, ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ২৭৫ টাকার বিক্রয়ের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে। যেখানে ভ্যাট ১ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯৭ টাকা ও জরিমানা সুদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩ টাকা। সুদ-আসল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটি মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় তিন প্রতিষ্ঠানে ৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

আপডেট সময় : ১১:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চার কোটি ১৫ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে কুমিল্লা শহরের ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তদন্ত করে প্রায় ২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির গোপন তথ্য উদঘাটন করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘ভ্যাট গোয়েন্দা কুমিল্লার ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে উদঘাটিত ভ্যাট আদায়ের জন্য মামলা ৩টি সংশ্লিষ্ট কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— কুমিল্লার সুয়াগাজীর ভাটপাড়ার কিষোয়ান স্নাকস্ লিমিটেড, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি এবং বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেড। এর মধ্যে কিষোয়ান স্নাকস্ ও বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি মিষ্টি ও বেকারি পণ্য উৎপাদন করে সারা দেশে সরবরাহ করে এবং একই মালিকানাধীন। এছাড়া ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং প্রতিষ্ঠানটি সামুদ্রিক জাল ও রশি উৎপাদন করে।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি দল গত ১৭ জানুয়ারি ওই ৩ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এসময় ভ্যাট গোয়েন্দারা ভ্যাট ফাঁকির আলামত সংগ্রহ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিক্রির চালান এবং বিক্রির রেজিস্টার জব্দ করা হয়। সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে দেখা যায়, কিষোয়ান স্নাকস্ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটি ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৪ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করে। যেখানে অপ্রদর্শিত মূসকের পরিমাণ ১ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী, মাসিক ২ শতাংশ সুদ আসে ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৭ টাকা। এ ছাড়া বনফুল অ্যান্ড কোম্পানিটি ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরে দাখিলপত্রে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২৯ টাকা কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করে। যার ওপর প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সুদ প্রযোজ্য ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৬ টাকা। একইভাবে ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেডের ২০২০ সালের জানুয়ারি ও গত ডিসেম্বরে জব্দ করা নথি অনুযায়ী, ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ২৭৫ টাকার বিক্রয়ের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে। যেখানে ভ্যাট ১ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯৭ টাকা ও জরিমানা সুদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩ টাকা। সুদ-আসল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটি মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।