নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব মানুষের কাঁপুনী রোগ বা পারকিনসন্স রোগ হয়। এ ধরনের রোগীরা যদি হেলা করে, যদি বেশি করে সিগারেট খায় (ধুমপান), তবে এটির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। তাই ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করবে, খাবার নিয়ন্ত্রণ করবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সেই সঙ্গে কাঁপুনি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিউরোলজিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং চিকিৎসা নিবে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিএসএমএমইউয়ে পারকিনসন্স দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি, সচেতনামূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের সামনে থেকে শুরু হয়ে টিএসসি, বটতলা প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবন বি ব্লকের সামনে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ দিবসটির কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। র‌্যালি শেষে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসূচকে আন্তর্জাতিক মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
উপাচার্য বলেন, দেশে প্রতি এক হাজার জন লোকের মধ্যে তিনজন লোক এই পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত। আক্রান্তরা বিএসএমএমইউতে এসে চিকিৎসা নিন। ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিউরোলজিক্যাল রোগীদের সেবার জন্য আমরা ইতোমধ্যে স্ট্রোক সেন্টার চালু করেছি। যেটি বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। যদি স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীরা সঠিক সময়ে এ সেন্টারে আসে, তবে তাদের জীবন রক্ষা করতে পারব। স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের সেবায় ভবিষ্যতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চালু করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।
র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘পারকিনসন্স রোগ: রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার সোসাইটি অফ বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. হাসান জাহিদুর রহমান, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট অফ বাংলাদেশের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ কোরাইশী এবং সাধারণ সম্পাদক বিএসএমএমইউ নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান আবু নাসার রিজভী বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, নিউজোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দে, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজ, সার্জারি বিভাগের (অনকোলজি) সহযোগী অধ্যাপক মো. রাসেল, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা জোহুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।