ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

২৭ বছর আগের হত্যা মামলার ১৬ আসামি আপিলে খালাস

  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর বদলগাছিতে ২৭ বছর আগের টগর হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে যাবজ্জীবন সাজার ১৮ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে খালাস দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ মামলার মূল আসামি চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। এছাড়া আরেক আসামি সবুজ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেননি। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাকি ১৬ আসামির আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেয়।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন- আশরাফুল, তসলিম উদ্দীন, নুরুল আলম ওরফে খোকন, নুরুজ্জামান, নুরুল হুদা, ইয়াকুব আলী, বাচ্চু, মোয়াজ্জেম, আবুল ওরফে আবুল কাশিম, লাজাব, আকবর আলী, আয়নাল হক, পিটু ওরফে পিন্টু, মঞ্জু, এনামুল, খাজামুদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন সারওয়ার আহমেদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী পরে বলেন, দ-বিধির ৩০২/১৪৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় ১৬ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় প্রকাশ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
“ডাক্তার নুরুল ইসলাম এই মামলার মূল আসামি। বিচারিক আদালত তাকে ফাঁসি দিয়েছিল, পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাই কোর্টের আপিলের রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেছেন।”
আইনজীবী সারওয়ার আহমেদ বলেন, খালাস পাওয়া ১৬ জনের কে কোথায় আছেন- এ বিষয়ে কোনো তথ্য আপিল বিভাগে যায়নি। “তবে আমার কাছে তথ্য আছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দিয়েছেন যে, ১৬ জনের মধ্যে ইয়াকুব আলী, নুরুজ্জামান, নুরুল আলম, নুরুল হুদা ও আবুল কাশেম ওরফে আবুল কাশিম মারা গেছেন।” মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ৩ জুলাই নওগাঁর কেশাই গ্ৰামে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে চিকিৎসক নুরুল ইসলাম তার লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়েন। তাতে টগর নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। নওগাঁর জজ আদালত ২০০৫ সালের ১০ জুলাই এ মামলার রায়ে নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদ- এবং ১৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। পরে মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাই কোর্টে যায়। পাশাপাশি যাবজ্জীবনের আসামিদের মধ্যে ১৭ জন আপিল করেন। শুনানি শেষে হাই কোর্ট ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর নুরুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়; বাকি ১৭ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকে। ওই ১৭ জনের মধ্যে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ আসামির আপিল শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আসামিদের সবাইকে খালাস দিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২৭ বছর আগের হত্যা মামলার ১৬ আসামি আপিলে খালাস

আপডেট সময় : ১০:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর বদলগাছিতে ২৭ বছর আগের টগর হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে যাবজ্জীবন সাজার ১৮ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে খালাস দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ মামলার মূল আসামি চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। এছাড়া আরেক আসামি সবুজ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেননি। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাকি ১৬ আসামির আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেয়।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন- আশরাফুল, তসলিম উদ্দীন, নুরুল আলম ওরফে খোকন, নুরুজ্জামান, নুরুল হুদা, ইয়াকুব আলী, বাচ্চু, মোয়াজ্জেম, আবুল ওরফে আবুল কাশিম, লাজাব, আকবর আলী, আয়নাল হক, পিটু ওরফে পিন্টু, মঞ্জু, এনামুল, খাজামুদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন সারওয়ার আহমেদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী পরে বলেন, দ-বিধির ৩০২/১৪৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় ১৬ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় প্রকাশ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
“ডাক্তার নুরুল ইসলাম এই মামলার মূল আসামি। বিচারিক আদালত তাকে ফাঁসি দিয়েছিল, পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাই কোর্টের আপিলের রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেছেন।”
আইনজীবী সারওয়ার আহমেদ বলেন, খালাস পাওয়া ১৬ জনের কে কোথায় আছেন- এ বিষয়ে কোনো তথ্য আপিল বিভাগে যায়নি। “তবে আমার কাছে তথ্য আছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দিয়েছেন যে, ১৬ জনের মধ্যে ইয়াকুব আলী, নুরুজ্জামান, নুরুল আলম, নুরুল হুদা ও আবুল কাশেম ওরফে আবুল কাশিম মারা গেছেন।” মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ৩ জুলাই নওগাঁর কেশাই গ্ৰামে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে চিকিৎসক নুরুল ইসলাম তার লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়েন। তাতে টগর নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। নওগাঁর জজ আদালত ২০০৫ সালের ১০ জুলাই এ মামলার রায়ে নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদ- এবং ১৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। পরে মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাই কোর্টে যায়। পাশাপাশি যাবজ্জীবনের আসামিদের মধ্যে ১৭ জন আপিল করেন। শুনানি শেষে হাই কোর্ট ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর নুরুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়; বাকি ১৭ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকে। ওই ১৭ জনের মধ্যে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ আসামির আপিল শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আসামিদের সবাইকে খালাস দিল।