ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সাত ম্যাচ পর জিতল শেখ রাসেল

  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ম্যাচ আসে ম্যাচ যায়, কিন্তু শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আর জেতা হয় না। ভুলে যাওয়া সেই স্বাদ ফিরে পেল তারা। মানিক হোসেন মোল্লা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন আইজার আখমেতভ। শেষ দিকে ব্যবধান কমালেও তাদের আটকাতে পারেনি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার ২-১ গোলে জিতেছে শেখ রাসেল। গত ফেব্রুয়ারিতে সাইফ স্পোর্টিংকে হারানোর সাত ম্যাচ পর দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল ২০১২-১৩ মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। লড়াইটা ছিল অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া দুই দলের। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত শুরু থেকেই দিচ্ছিল জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর দল। একাদশ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে চিয়াগো আমারালের বুলেট গতির শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লাগে। এরপর সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় শেখ রাসেল। ত্রয়োদশ মিনিটে রহমত মিয়ার কর্নারে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মানিক। ২০তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার আখমেতভ। মান্নাফ রাব্বীকে বক্সে জয়নাল আবেদিন দিপু ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। টানা ৯ ম্যাচ জয়হীন থেকে খেলতে নামা স্বাধীনতা প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২৪তম মিনিটে। বসনিয়া-হার্জেগোভিয়ার ফরোয়ার্ড নেদো তুর্কোভিচের হেড আটকান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৩৬তম মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্বাধীনতা গোলরক্ষক সারোয়ার হোসেনও।
৬৩তম মিনিটে নাদির মাভলিয়ানোভের শট বাঁক খেয়ে জালে ঢোকার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রানা। কর্নারে তুর্কোভিচের হেডও যায় বাইরে। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে স্বাধীনতা। ৭৪তম মিনিটে নাদিরের ফ্রি কিক পোস্টে জড়ালেও গোল হয়নি। রেফারির সংকেতের আগেই শট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর উজবেকিস্তানের এই মিডফিল্ডারের ফের নেওয়া ফ্রি কিক ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে। ৭৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে আখমেতভ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল। তাদেরকে আরও চেপে ধরার সুযোগ পায় স্বাধীনতা। ৮২তম মিনিটে ইকবালের ভলি ফেরান রানা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাদির ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট ফ্রি কিকে লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান কমে। এর পরপরই বাজে শেষের বাঁশি। লিগের প্রথম পর্বের ১১ রাউন্ড শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। ২২ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী দ্বিতীয়। ২১ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১০ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শেখ রাসেল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে স্বাধীনতা আছে তলানিতেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাত ম্যাচ পর জিতল শেখ রাসেল

আপডেট সময় : ০২:০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ম্যাচ আসে ম্যাচ যায়, কিন্তু শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আর জেতা হয় না। ভুলে যাওয়া সেই স্বাদ ফিরে পেল তারা। মানিক হোসেন মোল্লা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন আইজার আখমেতভ। শেষ দিকে ব্যবধান কমালেও তাদের আটকাতে পারেনি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার ২-১ গোলে জিতেছে শেখ রাসেল। গত ফেব্রুয়ারিতে সাইফ স্পোর্টিংকে হারানোর সাত ম্যাচ পর দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল ২০১২-১৩ মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। লড়াইটা ছিল অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া দুই দলের। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত শুরু থেকেই দিচ্ছিল জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর দল। একাদশ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে চিয়াগো আমারালের বুলেট গতির শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লাগে। এরপর সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় শেখ রাসেল। ত্রয়োদশ মিনিটে রহমত মিয়ার কর্নারে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মানিক। ২০তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার আখমেতভ। মান্নাফ রাব্বীকে বক্সে জয়নাল আবেদিন দিপু ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। টানা ৯ ম্যাচ জয়হীন থেকে খেলতে নামা স্বাধীনতা প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২৪তম মিনিটে। বসনিয়া-হার্জেগোভিয়ার ফরোয়ার্ড নেদো তুর্কোভিচের হেড আটকান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৩৬তম মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্বাধীনতা গোলরক্ষক সারোয়ার হোসেনও।
৬৩তম মিনিটে নাদির মাভলিয়ানোভের শট বাঁক খেয়ে জালে ঢোকার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রানা। কর্নারে তুর্কোভিচের হেডও যায় বাইরে। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে স্বাধীনতা। ৭৪তম মিনিটে নাদিরের ফ্রি কিক পোস্টে জড়ালেও গোল হয়নি। রেফারির সংকেতের আগেই শট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর উজবেকিস্তানের এই মিডফিল্ডারের ফের নেওয়া ফ্রি কিক ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে। ৭৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে আখমেতভ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল। তাদেরকে আরও চেপে ধরার সুযোগ পায় স্বাধীনতা। ৮২তম মিনিটে ইকবালের ভলি ফেরান রানা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাদির ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট ফ্রি কিকে লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান কমে। এর পরপরই বাজে শেষের বাঁশি। লিগের প্রথম পর্বের ১১ রাউন্ড শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। ২২ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী দ্বিতীয়। ২১ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১০ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শেখ রাসেল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে স্বাধীনতা আছে তলানিতেই।