ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়লো

  • আপডেট সময় : ১১:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আমদানির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে না রফতানি। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল এক হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার। আমদানির তুলনায় পণ্য রফতানি কম হওয়ায় বরাবরই বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে। আর এতে আমদানি-রফতানির মধ্যে বড় ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। আলোচিত আট মাসে রফতানি থেকে দেশ আয় করেছে তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলার। পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৮ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় থেকে রফতানি আয় বাদ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার। এই আট মাসে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬১৪ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে ৮৬৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে এ ঘাটতির (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঘাটতির বিপরীতে উদ্বৃত্ত ছিল ৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সামগ্রিক লেনেদেনে ঘাটতি ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। সামগ্রিক লেনেদেনে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ সূচকে ৬৮৮ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। যা ছিল আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ২৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে মাসে নিট বিদেশি বিনিয়োগও আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১০৪ কোটি ডলার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়লো

আপডেট সময় : ১১:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আমদানির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে না রফতানি। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল এক হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার। আমদানির তুলনায় পণ্য রফতানি কম হওয়ায় বরাবরই বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে। আর এতে আমদানি-রফতানির মধ্যে বড় ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। আলোচিত আট মাসে রফতানি থেকে দেশ আয় করেছে তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলার। পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৮ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় থেকে রফতানি আয় বাদ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার। এই আট মাসে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬১৪ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে ৮৬৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে এ ঘাটতির (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঘাটতির বিপরীতে উদ্বৃত্ত ছিল ৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সামগ্রিক লেনেদেনে ঘাটতি ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। সামগ্রিক লেনেদেনে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ সূচকে ৬৮৮ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। যা ছিল আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ২৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে মাসে নিট বিদেশি বিনিয়োগও আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১০৪ কোটি ডলার।