ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

হাওরপাড়ে উপমন্ত্রী, শুনলেন অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে দুটি বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রীকে কৃষকরা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার এ কে এম এনামুল হক শামীম দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরপাড়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন; বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ডুবাইল বাঁধ পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রী জানান, পাউবোর স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে, পাউবোর সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীকে সিলেটে অফিস না করে সুনামগঞ্জে অফিস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় সুনামগঞ্জ থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। কৃষকদের অভিযোগ বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ কারও অবহেলায় ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বোরবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাওরের বাঁধে অনিয়মের বিষয়ে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাসও দেন তিনি। দেশের খাদ্যশস্যের একটি বড় জোগান আসে হাওর থেকে। বিশাল হাওর বিস্তৃত সাত জেলা নিয়ে। এ জমির পুরোটাই এক ফসলি। হাওরের বোরো ধান রক্ষায় রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ। এ বাঁধ তলিয়ে গেলে মানুষের দুর্দশার সীমা-পরিসীমা থাকে না। তাই বাঁধ নিয়ে শঙ্কা বোরো ফসল না তোলা পর্যন্ত কাটে না কৃষকের।
২ মার্চ থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সীমান্ত নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। এই পানি প্রবাহিত হয় ভাটির হাওরের নদ-নদীতে। প্রবল পানির চাপে হাওরের নীচু জমিগুলো তলিয়ে যায় প্রথম ধাক্কাতেই; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাউবোর বাঁধের বাইরের এলাকা। হাওরের বাঁধ নিয়ে অনিয়ম, সময়মতো কাজ না হওয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই করে আসছিল কৃষক।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে পাউবোর প্রকল্পভুক্ত ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ডুবাইল বাঁধ ভেঙে ১৮৫ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়। গত দুদিনে উজানের পানি একটু কমলেও বাঁধগুলো যে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল পাউবো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিরাইয়ের চাপতির হাওর ডুবে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। ফসল নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম পরিদর্শনে যান ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ডুবাইল বাঁধ এলাকায়। সেখান থেকে ফিরে রাতে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, কৃষক, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় উপমন্ত্রী দিরাই উপজেলার চাপতির হাওর পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষকরা তার কাছে অভিযোগ করেন, ‘বৈশাখীর কোড়ে’ (গহীন গর্ত) ভালোমতো কাজ না হওয়ায় কালনী নদীর পানির তোড়ে ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙে গেছে।
অনিয়মের কারণে প্রতি বছরই এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হয় বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন। এ সময় এ কে এম এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের বলেন, “তালিকা করে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিছু ত্রাণ দিচ্ছেন। হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ত্রাণের বিষয়ে গত পরশু আমি জাতীয় সংসদে ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।”
উপমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ও ফসলহারা কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমি আজ সরাসরি দেখে গেলাম। যারা বোরো ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ডুবাইল বাঁধ পরিদর্শন করে উপমন্ত্রী বলেন, “এ বাঁধ কারও অবহেলায় ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।”
“আমরা গত তিন বছরে প্রথম শ্রেণির ২৩ জন ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছি অনিয়ম এবং সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণে। আমরা প্রকল্প যাতে সঠিক সময়ে শেষ হয় সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।”
পরে রাতে উপমন্ত্রী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিমিয় সভায় জানান, এখানে পাউবোর আরও কর্মকর্তা লাগলে নিয়ে আসা হবে। সরকার হাওরের ফসল রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিক। বাঁধ নির্মাণে জড়িত সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করে এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, “আমি সুধীজনদের কাছ থেকে যা শুনলাম তার তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে। এই পবিত্র রমজানে আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, সততার প্রশ্নে আমরা কখনও আপস করি না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, পাউবোর মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, পাউবোর উত্তর পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরবনে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারীকে আটক

হাওরপাড়ে উপমন্ত্রী, শুনলেন অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে দুটি বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রীকে কৃষকরা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার এ কে এম এনামুল হক শামীম দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরপাড়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন; বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ডুবাইল বাঁধ পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রী জানান, পাউবোর স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে, পাউবোর সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীকে সিলেটে অফিস না করে সুনামগঞ্জে অফিস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় সুনামগঞ্জ থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। কৃষকদের অভিযোগ বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ কারও অবহেলায় ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বোরবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাওরের বাঁধে অনিয়মের বিষয়ে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাসও দেন তিনি। দেশের খাদ্যশস্যের একটি বড় জোগান আসে হাওর থেকে। বিশাল হাওর বিস্তৃত সাত জেলা নিয়ে। এ জমির পুরোটাই এক ফসলি। হাওরের বোরো ধান রক্ষায় রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ। এ বাঁধ তলিয়ে গেলে মানুষের দুর্দশার সীমা-পরিসীমা থাকে না। তাই বাঁধ নিয়ে শঙ্কা বোরো ফসল না তোলা পর্যন্ত কাটে না কৃষকের।
২ মার্চ থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সীমান্ত নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। এই পানি প্রবাহিত হয় ভাটির হাওরের নদ-নদীতে। প্রবল পানির চাপে হাওরের নীচু জমিগুলো তলিয়ে যায় প্রথম ধাক্কাতেই; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাউবোর বাঁধের বাইরের এলাকা। হাওরের বাঁধ নিয়ে অনিয়ম, সময়মতো কাজ না হওয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই করে আসছিল কৃষক।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে পাউবোর প্রকল্পভুক্ত ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ডুবাইল বাঁধ ভেঙে ১৮৫ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়। গত দুদিনে উজানের পানি একটু কমলেও বাঁধগুলো যে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল পাউবো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিরাইয়ের চাপতির হাওর ডুবে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। ফসল নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম পরিদর্শনে যান ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ডুবাইল বাঁধ এলাকায়। সেখান থেকে ফিরে রাতে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, কৃষক, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় উপমন্ত্রী দিরাই উপজেলার চাপতির হাওর পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষকরা তার কাছে অভিযোগ করেন, ‘বৈশাখীর কোড়ে’ (গহীন গর্ত) ভালোমতো কাজ না হওয়ায় কালনী নদীর পানির তোড়ে ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙে গেছে।
অনিয়মের কারণে প্রতি বছরই এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হয় বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন। এ সময় এ কে এম এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের বলেন, “তালিকা করে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিছু ত্রাণ দিচ্ছেন। হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ত্রাণের বিষয়ে গত পরশু আমি জাতীয় সংসদে ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।”
উপমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ও ফসলহারা কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমি আজ সরাসরি দেখে গেলাম। যারা বোরো ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার তাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ডুবাইল বাঁধ পরিদর্শন করে উপমন্ত্রী বলেন, “এ বাঁধ কারও অবহেলায় ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।”
“আমরা গত তিন বছরে প্রথম শ্রেণির ২৩ জন ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছি অনিয়ম এবং সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণে। আমরা প্রকল্প যাতে সঠিক সময়ে শেষ হয় সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।”
পরে রাতে উপমন্ত্রী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিমিয় সভায় জানান, এখানে পাউবোর আরও কর্মকর্তা লাগলে নিয়ে আসা হবে। সরকার হাওরের ফসল রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিক। বাঁধ নির্মাণে জড়িত সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করে এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, “আমি সুধীজনদের কাছ থেকে যা শুনলাম তার তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে। এই পবিত্র রমজানে আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, সততার প্রশ্নে আমরা কখনও আপস করি না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, পাউবোর মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, পাউবোর উত্তর পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।