ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জলাবদ্ধতা নিরসনে শত কোটি টাকার প্রকল্প চলছে: তাপস

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদী কাজের পর মধ্যম মেয়াদী কিছু কাজ হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যাতে প্রায় ১০৩ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর যাত্রাবাড়ীস্থ শহীদ শেখ রাসেল পার্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। শেখ তাপস বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের স্বল্প মেয়াদী কাজ হলো, স্তুপ আকারে যে বর্জ্য ছিলো সেগুলো পরিষ্কার করা। যাতে করে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের সুযোগটা হয়। মধ্যমেয়াদী আমরা কিছু কার্যক্রম নিয়েছি, সেটা হলো, যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, নর্দমাগুলোকে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, আধারের জায়গাটা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, সেসব জায়গুলোতে অবকাঠানো উন্নয়ন করা। এরই মাঝে আমরা দরপত্র সম্পন্ন করেছি, আমাদের কাজ চলছে। প্রায় ১০৩ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। পরবর্তীতে হবে দীর্ঘমেয়াদী।’
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘মহাপরিকল্পনার আওতায় আমরা দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সেটা হবে অত্যন্ত পরিকল্পিত। কারণ আমরা লক্ষ্য করি, অপরিকল্পিতভাবে যে ঢাকা শহর গড়ে ওঠেছে, বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয় তা ধারণ করার ক্ষমতা ঢাকা শহরের নেই। যে কারণে বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা হতে থাকে।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রমকে স্বল্পমেয়াদী উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘আমাদের এখন যে কার্যক্রম চলছে সেটা স্বল্পমেয়াদী। বর্তমানে যে ধারণ ক্ষমতা আছে, যে অব্কাঠামো আছে, সেখানে যেনো অন্তত পক্ষে পানি যেতে পারে, নিষ্কাশন হতে পারে এবং পরবর্তীতে নদীতে প্রবাহিত হতে পারে। আমরা এই পর্যন্ত যতটুকু করেছি, তাতে কিছু সুফল আমরা পাচ্ছি। তার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমেয়াদী কার্যক্রমে আমাদেরকে সফল হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমে আমাদেরকে হাত দিতে হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মুন্সি মো. আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জলাবদ্ধতা নিরসনে শত কোটি টাকার প্রকল্প চলছে: তাপস

আপডেট সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদী কাজের পর মধ্যম মেয়াদী কিছু কাজ হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যাতে প্রায় ১০৩ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর যাত্রাবাড়ীস্থ শহীদ শেখ রাসেল পার্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। শেখ তাপস বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের স্বল্প মেয়াদী কাজ হলো, স্তুপ আকারে যে বর্জ্য ছিলো সেগুলো পরিষ্কার করা। যাতে করে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের সুযোগটা হয়। মধ্যমেয়াদী আমরা কিছু কার্যক্রম নিয়েছি, সেটা হলো, যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, নর্দমাগুলোকে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, আধারের জায়গাটা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, সেসব জায়গুলোতে অবকাঠানো উন্নয়ন করা। এরই মাঝে আমরা দরপত্র সম্পন্ন করেছি, আমাদের কাজ চলছে। প্রায় ১০৩ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। পরবর্তীতে হবে দীর্ঘমেয়াদী।’
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘মহাপরিকল্পনার আওতায় আমরা দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সেটা হবে অত্যন্ত পরিকল্পিত। কারণ আমরা লক্ষ্য করি, অপরিকল্পিতভাবে যে ঢাকা শহর গড়ে ওঠেছে, বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয় তা ধারণ করার ক্ষমতা ঢাকা শহরের নেই। যে কারণে বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা হতে থাকে।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রমকে স্বল্পমেয়াদী উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘আমাদের এখন যে কার্যক্রম চলছে সেটা স্বল্পমেয়াদী। বর্তমানে যে ধারণ ক্ষমতা আছে, যে অব্কাঠামো আছে, সেখানে যেনো অন্তত পক্ষে পানি যেতে পারে, নিষ্কাশন হতে পারে এবং পরবর্তীতে নদীতে প্রবাহিত হতে পারে। আমরা এই পর্যন্ত যতটুকু করেছি, তাতে কিছু সুফল আমরা পাচ্ছি। তার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমেয়াদী কার্যক্রমে আমাদেরকে সফল হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমে আমাদেরকে হাত দিতে হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মুন্সি মো. আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।