ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

‘৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাস গ্রহণ করছে’

  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এ কারণে হাঁপানি, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশে ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন, পরিবেশের সুরক্ষা ও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করা সম্ভব হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেন, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, কিন্তু আমরা সেটার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি না। পৃথিবীর স্বাস্ব্য, প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো না। সারা বিশ্বে উন্নতি হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবেশ, পানি, আবহাওয়া, মাটি সব নষ্ট হচ্ছে। এদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে, সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। জলবায়ূ দূষিত হওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছি। বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়ছে মানবদেহে। এ থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনাকালে সকল মন্ত্রণালয়কে ছাড়িয়ে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারাবিশ্বে অস্টম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শারীরীক, মানসিক, সামাজিকভাবে যিনি সুস্থ, তিনি সেভৈাগ্যবান। আমরা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছি, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে। এখন স্বাস্থ্যবীমা করা খুব দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থা আরও আধুনিক করতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে চটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনে সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, খরা, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। নগরায়নের কারণে শব্দদূষণ বেড়েছে। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের হার বেড়েছে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘উন্নয়ণের জন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেকের ঈর্ষার কারণ। পরিবেশের ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক সচেতন হতে হবে। পরিবেশকে বাসযোগ্য করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

‘৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাস গ্রহণ করছে’

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এ কারণে হাঁপানি, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশে ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন, পরিবেশের সুরক্ষা ও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করা সম্ভব হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেন, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, কিন্তু আমরা সেটার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি না। পৃথিবীর স্বাস্ব্য, প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো না। সারা বিশ্বে উন্নতি হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবেশ, পানি, আবহাওয়া, মাটি সব নষ্ট হচ্ছে। এদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে, সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। জলবায়ূ দূষিত হওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছি। বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়ছে মানবদেহে। এ থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনাকালে সকল মন্ত্রণালয়কে ছাড়িয়ে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারাবিশ্বে অস্টম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শারীরীক, মানসিক, সামাজিকভাবে যিনি সুস্থ, তিনি সেভৈাগ্যবান। আমরা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছি, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে। এখন স্বাস্থ্যবীমা করা খুব দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থা আরও আধুনিক করতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে চটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনে সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, খরা, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। নগরায়নের কারণে শব্দদূষণ বেড়েছে। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের হার বেড়েছে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘উন্নয়ণের জন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেকের ঈর্ষার কারণ। পরিবেশের ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক সচেতন হতে হবে। পরিবেশকে বাসযোগ্য করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।