ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

মোংলা বন্দরের জন্য নতুন বিল পাস, সরল বিশ্বাসের কাজে মাফ

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ সংসদে পাস হয়েছে। বিলে ‘সরল বিশ্বাসের’ কর্মকা-ে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত বছরের ৩ এপ্রিল বিলটি সংসদে ওঠানোর পর দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই বছরের জুন মাসে কমিটি বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে। পরে সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি আবারও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এজন্য মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স- ১৯৭৬ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দরের কোনও স্থাপনা নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বিধি অনুসারে ঠিকাদার হিসাবে নিয়োগ করা যাবে। আগের আইনে এটা ছিল না। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ বন্দর সীমানা দূষিত করলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছর, অনধিক দুই বৎসর কারাদ- বা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা, অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-; পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা অন্যূন দুই লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হবে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে দেশের যে কোনও স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। বিলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দেয় তবে ছয় মাসের জেল অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের অধীন যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে, মোবাইল কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য টোল, রেট, ফি ও মাশুল সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া সম্পূর্ণ বা আংশিক মওকুফ করতে পারবে। বিলে সরল বিশ্বাসে করা কাজ রক্ষণ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে— এই আইনের অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোনও কাজের ফলে কোনও ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ বা এর চেয়ারম্যান, কোনও সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা রুজু করা যাবে না বা অন্য কোনও আইনগত কার্যধারাও গ্রহণ করা যাবে না। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে অবহেলার সাথে করা হোক বা না হোক প্রকৃতপক্ষে সততার সাথে করা হলে কোনও কিছু সরল বিশ্বাসে করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোংলা বন্দরের জন্য নতুন বিল পাস, সরল বিশ্বাসের কাজে মাফ

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ সংসদে পাস হয়েছে। বিলে ‘সরল বিশ্বাসের’ কর্মকা-ে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত বছরের ৩ এপ্রিল বিলটি সংসদে ওঠানোর পর দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই বছরের জুন মাসে কমিটি বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে। পরে সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি আবারও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এজন্য মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স- ১৯৭৬ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দরের কোনও স্থাপনা নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বিধি অনুসারে ঠিকাদার হিসাবে নিয়োগ করা যাবে। আগের আইনে এটা ছিল না। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ বন্দর সীমানা দূষিত করলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছর, অনধিক দুই বৎসর কারাদ- বা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা, অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-; পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা অন্যূন দুই লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হবে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে দেশের যে কোনও স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। বিলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দেয় তবে ছয় মাসের জেল অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের অধীন যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে, মোবাইল কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য টোল, রেট, ফি ও মাশুল সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া সম্পূর্ণ বা আংশিক মওকুফ করতে পারবে। বিলে সরল বিশ্বাসে করা কাজ রক্ষণ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে— এই আইনের অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোনও কাজের ফলে কোনও ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ বা এর চেয়ারম্যান, কোনও সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা রুজু করা যাবে না বা অন্য কোনও আইনগত কার্যধারাও গ্রহণ করা যাবে না। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে অবহেলার সাথে করা হোক বা না হোক প্রকৃতপক্ষে সততার সাথে করা হলে কোনও কিছু সরল বিশ্বাসে করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।