ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

নতুন প্রধানমন্ত্রী না পাওয়া পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের দায়িত্বে

  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলেও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকছেন। সোমবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সংবিধানের ২২৪-এ(৪) ধারার অধীনে নতুন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪(এ) ধারায় তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি রয়েছে। যদি পার্লামেন্টের নেতা বা বিরোধী দলীয় নেতা একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে এই ধারা অনুযায়ী পদে আসীন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীরা দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবয়াক মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগ হচ্ছে। এর আগে সোমবার দিনের শুরুতে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের কার্যকাল শেষ হয়েছে এবং এই আদেশ এখন থেকেই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।”
পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৪ ধারা অনুসারে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত’ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে দয়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের উত্থাপিত অনাস্থা ভোট আটকে দেওয়ার পর বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। আস্থা ভোট বাতিল হওয়ার পর রোববার ইমরান খান জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে জানান, প্রেসিডেন্টকে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার এবং নতুন নির্বাচন ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এর পরপরই প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কার্যালয় থেকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা আসে। পাকিস্তানের সংবিধানে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করার কথা রয়েছে। পার্লামেন্ট থেকে উৎখাত হওয়া এড়াতে ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কৌশলে জিতে গেলেও অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দেয় বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্ডিয়াল তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি জানান, বিরোধীদের অভিযোগ শুনতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল, পার্লামেন্ট বিলোপসহ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সব পদক্ষেপই বিচার করবে ওই বেঞ্চ। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রধানমন্ত্রী না পাওয়া পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের দায়িত্বে

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলেও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকছেন। সোমবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সংবিধানের ২২৪-এ(৪) ধারার অধীনে নতুন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪(এ) ধারায় তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি রয়েছে। যদি পার্লামেন্টের নেতা বা বিরোধী দলীয় নেতা একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে এই ধারা অনুযায়ী পদে আসীন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীরা দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবয়াক মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগ হচ্ছে। এর আগে সোমবার দিনের শুরুতে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের কার্যকাল শেষ হয়েছে এবং এই আদেশ এখন থেকেই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।”
পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৪ ধারা অনুসারে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত’ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে দয়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের উত্থাপিত অনাস্থা ভোট আটকে দেওয়ার পর বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। আস্থা ভোট বাতিল হওয়ার পর রোববার ইমরান খান জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে জানান, প্রেসিডেন্টকে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার এবং নতুন নির্বাচন ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এর পরপরই প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কার্যালয় থেকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা আসে। পাকিস্তানের সংবিধানে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করার কথা রয়েছে। পার্লামেন্ট থেকে উৎখাত হওয়া এড়াতে ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কৌশলে জিতে গেলেও অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দেয় বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্ডিয়াল তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি জানান, বিরোধীদের অভিযোগ শুনতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল, পার্লামেন্ট বিলোপসহ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সব পদক্ষেপই বিচার করবে ওই বেঞ্চ। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।