ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে ঘাস চাষ

  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক :ঘাস চাষের খরব নিতে গিয়ে সম্প্রতি দিনাজপরের বিরামপুর উপজেলার চক হরিদাসপুর গ্রামের বিভিন্ন ঘাসের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতার ঘাসের সমাহার। প্রথমে জমিগুলো বিঘাপ্রতি ৩ টলি গোবর সার, ১ বস্তা ডিএপি, ইউরিয়া ১ বস্তা ও ২ কেজি ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে জমি তৈরি করেছেন চাষিরা। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
গরম মৌসুমে দেড় মাসের মধ্যে ঘাস কেটে বাজারজাত করা যায়। আবার শীতের মৌসুমে তা বৃদ্ধি হতে সময় লাগে দুই মাসেরও বেশি। ঘাস কাটা পর্যন্ত দুইবার পানি দিতে হয়। কাটার পর আবারও অল্প করে ডিএপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। ঘাস ব্যবসায়ীরা জমিতে এসে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
চক হরিদাসপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন, আমি দুই বছর যাবৎ এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করে আসছি। আমার বাড়িতে ৬টি গরু আছে। প্রতিদিন অনেক টাকার ঘাস কিনে খাওয়াতে হতো ওদের। তাই আমি নিজেই জমিতে ঘাস চাষ করেছি। এখন আর বাজার থেকে কিনতে হয় না। অনেক ঘাস বাড়তি থাকে, এগুলো আবার বিক্রি করি। গরম পড়েছে, ঘাসের ফলনও বেশি হচ্ছে। এ ছাড়াও, সব জায়গাতে ঘাসের ফলন ভালো। এই জন্য দামও কম, ব্যবসায়ীদের নিকট ৫ টাকা করে আঁটি বিক্রি করছি।একটা সময় ঘাস ফেলে দিতাম, আগুনে পোড়াতাম।এখন স্বর্ণের দামে বিক্রি করি।
হিলির ঘাস ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, এবার বিরামপুর-হিলিতে প্রচুর ঘাস চাষ হয়েছে। চাষিদের নিকট থেকে আমি আঁটি হিসাবে কিনে আনি। প্রতি আঁটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে পাইকারি কিনছি, তা আবার ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২২০ আঁটি ঘাস বিক্রি করি। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা লাভ হয়। ঘাসের ব্যবসা করে অনেক ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছি। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এবছর উপজেলায় মোট ২৯ হেক্টর জমিতে ঘাস চাষ হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবছর উপজেলায় ঘাসের ফলন ভালো। আমরা ঘাস চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছি।-

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে ঘাস চাষ

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক :ঘাস চাষের খরব নিতে গিয়ে সম্প্রতি দিনাজপরের বিরামপুর উপজেলার চক হরিদাসপুর গ্রামের বিভিন্ন ঘাসের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতার ঘাসের সমাহার। প্রথমে জমিগুলো বিঘাপ্রতি ৩ টলি গোবর সার, ১ বস্তা ডিএপি, ইউরিয়া ১ বস্তা ও ২ কেজি ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে জমি তৈরি করেছেন চাষিরা। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
গরম মৌসুমে দেড় মাসের মধ্যে ঘাস কেটে বাজারজাত করা যায়। আবার শীতের মৌসুমে তা বৃদ্ধি হতে সময় লাগে দুই মাসেরও বেশি। ঘাস কাটা পর্যন্ত দুইবার পানি দিতে হয়। কাটার পর আবারও অল্প করে ডিএপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। ঘাস ব্যবসায়ীরা জমিতে এসে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
চক হরিদাসপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন, আমি দুই বছর যাবৎ এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করে আসছি। আমার বাড়িতে ৬টি গরু আছে। প্রতিদিন অনেক টাকার ঘাস কিনে খাওয়াতে হতো ওদের। তাই আমি নিজেই জমিতে ঘাস চাষ করেছি। এখন আর বাজার থেকে কিনতে হয় না। অনেক ঘাস বাড়তি থাকে, এগুলো আবার বিক্রি করি। গরম পড়েছে, ঘাসের ফলনও বেশি হচ্ছে। এ ছাড়াও, সব জায়গাতে ঘাসের ফলন ভালো। এই জন্য দামও কম, ব্যবসায়ীদের নিকট ৫ টাকা করে আঁটি বিক্রি করছি।একটা সময় ঘাস ফেলে দিতাম, আগুনে পোড়াতাম।এখন স্বর্ণের দামে বিক্রি করি।
হিলির ঘাস ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, এবার বিরামপুর-হিলিতে প্রচুর ঘাস চাষ হয়েছে। চাষিদের নিকট থেকে আমি আঁটি হিসাবে কিনে আনি। প্রতি আঁটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে পাইকারি কিনছি, তা আবার ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২২০ আঁটি ঘাস বিক্রি করি। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা লাভ হয়। ঘাসের ব্যবসা করে অনেক ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছি। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এবছর উপজেলায় মোট ২৯ হেক্টর জমিতে ঘাস চাষ হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবছর উপজেলায় ঘাসের ফলন ভালো। আমরা ঘাস চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছি।-