ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পেট সমতল রাখতে আপেল

  • আপডেট সময় : ১১:২১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : যে কোনো মিষ্টি খাবারের প্রতি ঝোঁক কমাতে পারে আপেল। ওজন কমানো সহজ কথা নয়, বিশেষ করে যখন প্রিয় খাবারগুলোই বাদ দিতে হয়। তবে বাড়তি মেদ কমাতে সক্ষম এমন খাবার দৈনিক খাদ্য-তালিকায় যোগ করা উপকারী। উদাহরণ হিসেবে ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা’র নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলোর বই ‘গো ওয়েলনেস’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ফল হল একটি স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবার যা ওজন কমানোর লক্ষ্যে সাহায্য করে। বিশেষ করে যদি পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে ফল খাওয়া উপকারী।” ডি’অ্যাঞ্জেলোর মতে, “সমতল পেটের জন্য সেরা ফল হল আপেল।” এই পুষ্টিবিদের মতে, “প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া ডাক্তারকে দূরে রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে পারে, কারণ এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্লাভানয়েড এবং আঁশ যা পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আপেল কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এমন কি, পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।” “আপেল পেকটিন আঁশ সমৃদ্ধ, যা দুটি কাজ করে। প্রথমত- মন ভরা অনুভূতি দেয় আর দ্বিতীয়ত বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। কারণ পেকটিন আঁশ ধীরে ধীরে ভাঙে।” অর্থাৎ, পেট ভরা থাকলে বাড়তি খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকে না। ফলে বাড়তি ক্যালরি ও চিনি গ্রহণের ঝুঁকি কমে যায়। “পেট সমতল রাখতে আপেল একটি দুর্দান্ত ফল” বলেন ডি’অ্যাঞ্জেলো।
আপেল পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপেল নিয়ে ইরানের ‘ইসফাহান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সায়েন্স’ ও কানাডা’র লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে করা গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, “বাড়তি ওজনের অধিকারীদের নিয়মিত আপেল খাওয়া ওজন হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল।” আবার জাপানের ‘ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের পলিফেনলগুলো বিশেষভাবে ‘ভিসারাল ফ্যাট’ কমাতে পারে। এই ‘বিপজ্জনক চবি’ পেটের বিভিন্ন অংশে জমে। মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে আপেল খাওয়া পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করতে পারে। যেহেতু ক্রমাগতভাবে চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া পেটের চর্বির সঙ্গে যুক্ত, তাই এর পরিবর্তে আপেলের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস থেকে মিষ্টি খাবার খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। শুধু আপেল খেতে না চাইলে ওটমিল খাওয়ার সময় তাতে যোগ করে নেওয়া যায় এই ফল। ওটমিলের বা ওটসের আঁশও ওজন কমাতে সহায়ক। আপেলের সঙ্গে পছন্দের বাদাম যোগ করা হলে তা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে এবং এটা একটা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও বিবেচিত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পেট সমতল রাখতে আপেল

আপডেট সময় : ১১:২১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : যে কোনো মিষ্টি খাবারের প্রতি ঝোঁক কমাতে পারে আপেল। ওজন কমানো সহজ কথা নয়, বিশেষ করে যখন প্রিয় খাবারগুলোই বাদ দিতে হয়। তবে বাড়তি মেদ কমাতে সক্ষম এমন খাবার দৈনিক খাদ্য-তালিকায় যোগ করা উপকারী। উদাহরণ হিসেবে ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা’র নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলোর বই ‘গো ওয়েলনেস’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ফল হল একটি স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবার যা ওজন কমানোর লক্ষ্যে সাহায্য করে। বিশেষ করে যদি পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে ফল খাওয়া উপকারী।” ডি’অ্যাঞ্জেলোর মতে, “সমতল পেটের জন্য সেরা ফল হল আপেল।” এই পুষ্টিবিদের মতে, “প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া ডাক্তারকে দূরে রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে পারে, কারণ এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্লাভানয়েড এবং আঁশ যা পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আপেল কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এমন কি, পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।” “আপেল পেকটিন আঁশ সমৃদ্ধ, যা দুটি কাজ করে। প্রথমত- মন ভরা অনুভূতি দেয় আর দ্বিতীয়ত বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। কারণ পেকটিন আঁশ ধীরে ধীরে ভাঙে।” অর্থাৎ, পেট ভরা থাকলে বাড়তি খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকে না। ফলে বাড়তি ক্যালরি ও চিনি গ্রহণের ঝুঁকি কমে যায়। “পেট সমতল রাখতে আপেল একটি দুর্দান্ত ফল” বলেন ডি’অ্যাঞ্জেলো।
আপেল পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপেল নিয়ে ইরানের ‘ইসফাহান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সায়েন্স’ ও কানাডা’র লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে করা গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, “বাড়তি ওজনের অধিকারীদের নিয়মিত আপেল খাওয়া ওজন হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল।” আবার জাপানের ‘ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের পলিফেনলগুলো বিশেষভাবে ‘ভিসারাল ফ্যাট’ কমাতে পারে। এই ‘বিপজ্জনক চবি’ পেটের বিভিন্ন অংশে জমে। মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে আপেল খাওয়া পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করতে পারে। যেহেতু ক্রমাগতভাবে চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া পেটের চর্বির সঙ্গে যুক্ত, তাই এর পরিবর্তে আপেলের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস থেকে মিষ্টি খাবার খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। শুধু আপেল খেতে না চাইলে ওটমিল খাওয়ার সময় তাতে যোগ করে নেওয়া যায় এই ফল। ওটমিলের বা ওটসের আঁশও ওজন কমাতে সহায়ক। আপেলের সঙ্গে পছন্দের বাদাম যোগ করা হলে তা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে এবং এটা একটা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও বিবেচিত।