ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

জাদুঘরে নিদর্শনের ক্ষতি করলে ১০ বছরের জেল, সংসদে বিল পাস

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাদুঘরের কোনো নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারদ-ের বিধান রেখে একটি নতুন আইন করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ বিল সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অ্যধাদেশ বাতিল করে তার জায়গায় নতুন এই আইন হচ্ছে। জাদুঘরের জন্য একজন কিউরেটর ও সহকারী কিউরেটর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে, যা বিদ্যমান অধ্যাদেশে ছিল না।
জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারদ- বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। আর অস্থাবর নিদর্শন চুরি, পাচার, ধ্বংস নষ্ট, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিলে বলা হয়েছে, কেউ জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর খোদাই করলে বা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। জাদুঘরের পরিচালনায় সংস্কৃতিমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সরকার আগের মতই জাদুঘরের জন্য একজন মহাপরিচালক নিয়োগ করবে। বিলে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনীর করার সুযোগ থাকছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহগর ছাড়া যে কোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, গবেষণা কেন্দ্র, মহাফেজখানা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জাতীয় জাদুঘর।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

জাদুঘরে নিদর্শনের ক্ষতি করলে ১০ বছরের জেল, সংসদে বিল পাস

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাদুঘরের কোনো নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারদ-ের বিধান রেখে একটি নতুন আইন করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ বিল সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অ্যধাদেশ বাতিল করে তার জায়গায় নতুন এই আইন হচ্ছে। জাদুঘরের জন্য একজন কিউরেটর ও সহকারী কিউরেটর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে, যা বিদ্যমান অধ্যাদেশে ছিল না।
জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারদ- বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। আর অস্থাবর নিদর্শন চুরি, পাচার, ধ্বংস নষ্ট, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিলে বলা হয়েছে, কেউ জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর খোদাই করলে বা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। জাদুঘরের পরিচালনায় সংস্কৃতিমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সরকার আগের মতই জাদুঘরের জন্য একজন মহাপরিচালক নিয়োগ করবে। বিলে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনীর করার সুযোগ থাকছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহগর ছাড়া যে কোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, গবেষণা কেন্দ্র, মহাফেজখানা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জাতীয় জাদুঘর।