ক্রীড়া প্রতিবেদক : আকবর আলী-মেহেরব হাসানদের ব্যাটিং ঝড়ের পর আল আমিন জুনিয়র-কাজী অনিক ইসলামদের বোলিং নৈপুণ্যে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে উড়িয়ে দিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
গতকাল বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় গাজী গ্রুপ-মোহামেডান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৪৬ রান করে আকবর আলীর দল। রান তাড়া করতে নেমে ৪৪.১ ওভারে ২৭৪ রান করতেই শুভাগতর দল সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। ৭২ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গাজী গ্রুপ। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে আকবের হাতে।
মোহামেডানের সামনে লক্ষ্য ছিল বড়। রনি তালুকদারের ঝড়ে শুরুটা ভালো হলেও আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (৭) ছিলেন ব্যর্থ। সৌম্য সরকারকে নিয়ে এগোতে থাকেন রনি। ৩৩ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ফিফটি করেন তিনি। ২৮ বলে ২৩ করে সৌম্য ফিরলে ৬৭ রানে ভাঙে এই জুটি।
রনির পরের সঙ্গী হন মোহাম্মদ হাফিজ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রনি এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তার বাধা হয়ে দাঁড়ান আকবর উর রহমান। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬৩ বলে ৮২ রান করে থামেন।
রনির আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। হাফিজ খেলতে পারেননি পরিস্থিতি অনুযায়ী। পাকিস্তানি এই তারকা ব্যাটসম্যান আউট হন ৩৬ বলে ৩০ রান করে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
শেষ দিকে লড়েছিলেন আরিফুল হক ও জাহিদুজ্জামান। ৫০ বলে ৫৯ রান করেন আরিফুল। ফিফটি হাঁকান ৩৯ বলে। আর জাহিদুজ্জামানের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আল আমিন জুনিয়র। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন হুসনা হাবিব মেহেদী, কাজী অনিক ও আকবর উর রহমান।
এর আগে আকবর আলীর টর্নেডো ইনিংসে এই বিশাল রান করে গাজী গ্রুপ। মাত্র ৪৫ বলে ৫টি চার ও হাফ ডজন ছয়ের মারে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন আকবর। ফিফটি করেছিলেন মাত্র ২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে। ওভার শেষ হওয়াতে সেঞ্চুরিটার নাগাল পাননি। এ ছাড়া গাজী গ্রুপের হয়ে ফিফটি করেন আরো ৩ ব্যাটসম্যান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান ৫৯, ফরহাদ হোসেন ৬২ ও আকবর উর রহমান ৫৪ রান করেন। মাত্র ১৭ বলে ৩৫ রান করেন মেহেরব।
মোহামেডানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু, মোহাম্মদ হাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
আকবর আলীদের ঝড়ে উড়ে গেল মোহামেডান
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ