ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আচার বেচে গরিবের পাশে ৮৮ বছরের বৃদ্ধা

  • আপডেট সময় : ১১:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : ৮৮ বছর বয়সী ঊষা গুপ্তা। যিনি এখন পরিচিত নানি জি নামেই। ২০২১ সালে করোনায় হারিয়েছেন ৬৩ বছরের সঙ্গী স্বামীকে। এরপর নিজেও কিছুদিন ছিলেন হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হলে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু তখনো মহামারির কবলে পুরো বিশ্ব। হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়ে পথে বসেছে। এতিম হয়েছে হাজারো শিশু।
অসহায় মানুষদের জন্য মন খারাপ লাগতো ঊষা গুপ্তার। কিন্তু তাদের সাহায্য করার মতো অর্থও তার কাছে নেই। তখনই তার মাথায় আসে আচার বিক্রির কথা। নাতিদের সঙ্গে তিনি তার ভাবনা শেয়ার করলেন। তারাও রাজি হয়ে যায়। এভাবেই শুরু ঊষার আচার তৈরি।
তার নাতনি ডা. রাধিকা বাত্রার উদ্যোগে ‘পিকল্ড উইথ লাভ’ নামের বিভিন্ন আচার ও চাটনি তৈরি করেন তিনি। সেই আচার বিক্রির সব অর্থই তারা দেন সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে। ঊষা গুপ্তার সারাদিন কাটে আচার তৈরিতে। এতে একদিকে যেমন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করতে পারছেন তেমনি নিজের একাকীত্বও দূর করতে পারছেন। ঊষা আচারের সঙ্গে হাতে লেখা নোট দেন তার ক্রেতাদের। অনেকেই বলেন তারা শুধু ঊষার নোট পেতেই আচার অর্ডার করেন।
তিনি ভারতীয় শাকাহারি ব্যাঞ্জন অর্থাৎ ভারতীয় নিরামিষ রেসিপি নামে একটি বইও লিখেছেন। সেটিও বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি। নানি জির আচার বিক্রির অর্থে চারটি শহরে প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি গৃহহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ঊষা মনে করেন তার এই কাজ অন্যদের উৎসাহ দেবে। অনুপ্রাণিত করবে অসহায়দের সাহায্য করতে। এতে সেই সব মানুষেরা উপকৃত হবেন। সেই সঙ্গে সমাজও উপকৃত হবে। সূত্র: দ্য বেটার ইন্ডিয়া

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আচার বেচে গরিবের পাশে ৮৮ বছরের বৃদ্ধা

আপডেট সময় : ১১:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

নারী ও শিশু ডেস্ক : ৮৮ বছর বয়সী ঊষা গুপ্তা। যিনি এখন পরিচিত নানি জি নামেই। ২০২১ সালে করোনায় হারিয়েছেন ৬৩ বছরের সঙ্গী স্বামীকে। এরপর নিজেও কিছুদিন ছিলেন হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হলে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু তখনো মহামারির কবলে পুরো বিশ্ব। হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়ে পথে বসেছে। এতিম হয়েছে হাজারো শিশু।
অসহায় মানুষদের জন্য মন খারাপ লাগতো ঊষা গুপ্তার। কিন্তু তাদের সাহায্য করার মতো অর্থও তার কাছে নেই। তখনই তার মাথায় আসে আচার বিক্রির কথা। নাতিদের সঙ্গে তিনি তার ভাবনা শেয়ার করলেন। তারাও রাজি হয়ে যায়। এভাবেই শুরু ঊষার আচার তৈরি।
তার নাতনি ডা. রাধিকা বাত্রার উদ্যোগে ‘পিকল্ড উইথ লাভ’ নামের বিভিন্ন আচার ও চাটনি তৈরি করেন তিনি। সেই আচার বিক্রির সব অর্থই তারা দেন সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে। ঊষা গুপ্তার সারাদিন কাটে আচার তৈরিতে। এতে একদিকে যেমন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করতে পারছেন তেমনি নিজের একাকীত্বও দূর করতে পারছেন। ঊষা আচারের সঙ্গে হাতে লেখা নোট দেন তার ক্রেতাদের। অনেকেই বলেন তারা শুধু ঊষার নোট পেতেই আচার অর্ডার করেন।
তিনি ভারতীয় শাকাহারি ব্যাঞ্জন অর্থাৎ ভারতীয় নিরামিষ রেসিপি নামে একটি বইও লিখেছেন। সেটিও বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি। নানি জির আচার বিক্রির অর্থে চারটি শহরে প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি গৃহহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ঊষা মনে করেন তার এই কাজ অন্যদের উৎসাহ দেবে। অনুপ্রাণিত করবে অসহায়দের সাহায্য করতে। এতে সেই সব মানুষেরা উপকৃত হবেন। সেই সঙ্গে সমাজও উপকৃত হবে। সূত্র: দ্য বেটার ইন্ডিয়া