চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য কমায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে আর বিএনপির অস্বস্তি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে সভার বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, “স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড মানে পাঁচ কোটি মানুষ।
“বাজারে দ্রব্যমূল্যও কমে গেছে। দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জনগণের মধ্যে যখন স্বস্তি ফিরে এসেছে তখন বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে গেছে। তারা সেজন্য বাম-ভাইদেরকে দিয়ে হরতাল ডাকালেন।”
তিনি বলেন, “করোনার কারণে এবং ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হবার পর কিছু কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তখন বিএনপি সারাদেশে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে তারা দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করেছে।
“একদিকে মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়েছে পণ্য মজুদ করার জন্য এবং পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য; অন্যদিকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিএনপির কাজটাই হচ্ছে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
“আপনারা দেখেছেন যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। এই পদ্মা সেতু করতে পারবে না বলে তারা নানা ধরনের বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল। আজকে পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে এপার থেকে ওপারে গেছেন।”
তিনি বলেন, “তারা বাম-ভাইদের দিয়ে হরতাল ডাকাল। হরতাল ডেকে জাফরউল্লাহ সাহেব নিজে স্বপরিবারে লন্ডন চলে গেলেন। আর বাম ভাইদের হরতালের সময় গতকাল (সোমবার) ঢাকা শহরে প্রচ- ট্রাফিক জ্যাম ছিল। “বাম ভাইদের আমি সম্মান করি, কারণ তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু তারা কেন হরতাল করে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেন সেটিই আমার প্রশ্ন।” প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সারাদেশে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেড়িয়ে আসছে বলে জানান তিনি। “এতে আগামী নির্বাচনে আমরা আবারও ২০০৮ এর মত ধস নামানো বিজয় নিশ্চিত করব, ” যোগ করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আ.লীগ নেতা ও পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আসলাম খাঁন।