প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখনো চলছে লড়াই। এর মাঝে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন। তবে তিনি শর্তজুড়ে দিয়েছেন যে তা গণভোটের মাধ্যমে ঠিক হতে হবে। একই সঙ্গে তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এমন মন্তব্য করেন। এদিকে, ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনার পরবর্তী ধাপ গতকাল সোমবার( ২৮ মার্চ) থেকে তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে, এখনো কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন সরকার। চেরনিহিভের মেয়র জানান, উত্তর ইউক্রেনের শহরটি রুশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। এক মাসের বেশি ধরে চলছে দুপক্ষের লড়াই। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
১১১৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত: জাতিসংঘ : গত এক মাসে রুশ হামলায় ১ হাজার ১১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।আর আহত হয়েছে এক হাজার ৭৯০ জন।এদের মধ্যে ১৫ জন তরুণী এবং ৩২ জন তরুণ রয়েছে। এর আগে গত ১৭ র্মার্চ জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ৫২ শিশুসহ সাতশর বেশি বেসামরিক নাগরিক রুশ হামলায় নিহত হয়েছে।যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের মতে, বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কামানের ভারি গোলা, একাধিক রকেট নিক্ষেপ ব্যবস্থাপনা থেকে গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলাও রয়েছে। অন্যদিকে গত এক মাসে কমপক্ষে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আটলান্টিক সামরিক জোট(ন্যাটো)।তবে ইউক্রেনের কত সেনা নিহত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। আর গত এক মাসে রুশ বাহিনীর হামলায় ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেঁড়েছে। তারা প্রতিবেশীদেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। পোল্যান্ডেই ১৫ লাখের বেশি শরণার্থী আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া, দেশের অভ্যন্তরেই ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। বিবিসির মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ না হলে এ হতাহত ও শরণার্থীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা পুতিনের : ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত রোববার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তার দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলে মানবিক অবস্থার উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ