ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

আইপিএল অভিষেকে শেষের ঝড়ে নায়ক স্মিথ

  • আপডেট সময় : ১০:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ডিপ এক্সট্রা কাভারে ওডেন স্মিথের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন অনুজ রাওয়াত। যেন ম্যাচটাই হাত থেকে ফেলে দিলেন তিনি! জীবন পেয়ে ঝড় তুললেন স্মিথ। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার দারুণ জুটিতে কঠিন সমীকরণ মেলাল পাঞ্জাব কিংস। বড় রান তাড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরকে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল মায়াঙ্ক আগারওয়ালের দল। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল একাডেমি মাঠে রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের জয় ৫ উইকেটে। ২০৬ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতে। স্মিথের মূল কাজ বোলিং। ক্যারিবিয়ান এই পেসার আইপিএল অভিষেকে ম্যাচের প্রথম ভাগে ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। পরে তিনিই নায়ক ব্যাট হাতে, ৮ বলে ৩ ছক্কা ও একটি চারে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। অথচ নায়ক হতে পারতেন ফাফ দু প্লেসি। আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেকে বেঙ্গালোরের নতুন অধিনায়ক ৫৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন ৮৮ রানের দারুণ ইনিংস।
নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বিরাট কোহলি ২ ছক্কা ও এক চারে ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪১ রান। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের স্কোর দুইশর ওপরে নিয়ে যান দিনেশ কার্তিক। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালোরের শুরুটা হয় ধীরগতির। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও তারা রান তুলতে পারে কেবল ৪১। প্রথম ১০ ওভার শেষে দলটির রান ছিল ১ উইকেটে ৭০। দু প্লেসির রান তখন ৩০ বলে ১৭। পরে লিয়াম লিভিংস্টোনের লেগ স্পিনে ছক্কায় উড়িয়ে ডানা মেলেন দু প্লেসি। এরপর স্রেফ ছুটতে থাকেন। পরের ওভারে স্মিথকে টানা তিন বলে মারেন দুই ছক্কা ও এক চার। ফিফটি স্পর্শ করেন ৪২ বলে। ফিফটির পর দু প্লেসি টানা দুই ছক্কা হাঁকান হারপ্রিত ব্রারকে। পরে আর্শদিপ সিংকে মারেন দুটি। তখন তার সেঞ্চুরিও মনে হচ্ছিল নাগালে। কিন্তু আর্শদিপের পরের ওভারেই বিদায় নেন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দুই ওভারে তা-ব চালান কার্তিক। স্মিথকে মারেন দুই ছক্কা ও একটি চার, সন্দিপ শর্মাকে দুই চারের সঙ্গে একটি ছক্কা।
রান তাড়ায় মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা তোলে ৬৩ রান। তবে দুই ওপেনারের কেউ ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। তিনে নেমে ঝড় তুলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভানুকা রাজাপাকসা। ১৩ ওভার শেষে পাঞ্জাবের রান ছিল ২ উইকেটে ১৩৯। পরের ওভারে পরপর দুই বলে রাজাপাকসা ও রাজ বাওয়াকে বিদায় করে বেঙ্গালোরকে ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। আইপিএল অভিষেকে রাজাপাকসা ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে করেন ৪৩ রান। এবারের নিলামে সবচেয়ে দামি বিদেশি লিয়াম লিভিংস্টোন বিদায় নেন দুই ছক্কা মেরেই। শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫০। শেষ ৩ ওভারে যা দাঁড়ায় ৩৬ রানে। সেই সমীকরণ এক ওভার বাকি থাকতেই মিলিয়ে দেন স্মিথ ও শাহরুখ। জীবন পাওয়ার পর ১৮তম ওভারে সিরাজকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারেন স্মিথ। পরের ওভারে হার্শাল প্যাটেলকে ছক্কা-চারে ম্যাচের ইতি টানেন শাহরুখ। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ও সেরা ফিনিশারদের একজন হিসেবে পরিচিত শাহরুখ আরেকবার দেখালেন তার সামর্থ্য। ২০ বলে ২ ছক্কা ও একটি চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর: ২০ ওভারে ২০৫/ ২ (দু প্লেসি ৮৮, রাওয়াত ২১, কোহলি ৪১, কার্তিক ৩২; সন্দিপ ৪-০-৩৭-০, আর্শদিপ ৪-০-৩১-১, স্মিথ ৪-০-৫২-০, রাহুল ৪-০-২২-১, ব্রার ৩-০-৩৮-০, লিভিংস্টোন ১-০-১৪-০)
পাঞ্জাব কিংস: ১৯ ওভারে ২০৮/৫ (মায়াঙ্ক ৩২, ধাওয়ান ৪৩, রাজাপাকসা ৪৩, লিভিংস্টোন ১৯, বাওয়া ০, শাহরুখ ২৪, স্মিথ ২৫; উইলি ৩-০-২৮-০, সিরাজ ৪-০-৫৯-২, শাহবাজ ১-০-৬-০, আকাশ ৩-০-৩৮-১, হাসারাঙ্গা ৪-০-৪০-১, হার্শাল ৪-০-৩৬-১
ফল: পাঞ্জাব কিংস ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওডেন স্মিথ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

আইপিএল অভিষেকে শেষের ঝড়ে নায়ক স্মিথ

আপডেট সময় : ১০:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ডিপ এক্সট্রা কাভারে ওডেন স্মিথের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন অনুজ রাওয়াত। যেন ম্যাচটাই হাত থেকে ফেলে দিলেন তিনি! জীবন পেয়ে ঝড় তুললেন স্মিথ। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার দারুণ জুটিতে কঠিন সমীকরণ মেলাল পাঞ্জাব কিংস। বড় রান তাড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরকে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল মায়াঙ্ক আগারওয়ালের দল। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল একাডেমি মাঠে রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের জয় ৫ উইকেটে। ২০৬ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতে। স্মিথের মূল কাজ বোলিং। ক্যারিবিয়ান এই পেসার আইপিএল অভিষেকে ম্যাচের প্রথম ভাগে ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। পরে তিনিই নায়ক ব্যাট হাতে, ৮ বলে ৩ ছক্কা ও একটি চারে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। অথচ নায়ক হতে পারতেন ফাফ দু প্লেসি। আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেকে বেঙ্গালোরের নতুন অধিনায়ক ৫৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন ৮৮ রানের দারুণ ইনিংস।
নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বিরাট কোহলি ২ ছক্কা ও এক চারে ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪১ রান। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের স্কোর দুইশর ওপরে নিয়ে যান দিনেশ কার্তিক। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালোরের শুরুটা হয় ধীরগতির। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও তারা রান তুলতে পারে কেবল ৪১। প্রথম ১০ ওভার শেষে দলটির রান ছিল ১ উইকেটে ৭০। দু প্লেসির রান তখন ৩০ বলে ১৭। পরে লিয়াম লিভিংস্টোনের লেগ স্পিনে ছক্কায় উড়িয়ে ডানা মেলেন দু প্লেসি। এরপর স্রেফ ছুটতে থাকেন। পরের ওভারে স্মিথকে টানা তিন বলে মারেন দুই ছক্কা ও এক চার। ফিফটি স্পর্শ করেন ৪২ বলে। ফিফটির পর দু প্লেসি টানা দুই ছক্কা হাঁকান হারপ্রিত ব্রারকে। পরে আর্শদিপ সিংকে মারেন দুটি। তখন তার সেঞ্চুরিও মনে হচ্ছিল নাগালে। কিন্তু আর্শদিপের পরের ওভারেই বিদায় নেন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দুই ওভারে তা-ব চালান কার্তিক। স্মিথকে মারেন দুই ছক্কা ও একটি চার, সন্দিপ শর্মাকে দুই চারের সঙ্গে একটি ছক্কা।
রান তাড়ায় মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা তোলে ৬৩ রান। তবে দুই ওপেনারের কেউ ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। তিনে নেমে ঝড় তুলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভানুকা রাজাপাকসা। ১৩ ওভার শেষে পাঞ্জাবের রান ছিল ২ উইকেটে ১৩৯। পরের ওভারে পরপর দুই বলে রাজাপাকসা ও রাজ বাওয়াকে বিদায় করে বেঙ্গালোরকে ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। আইপিএল অভিষেকে রাজাপাকসা ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে করেন ৪৩ রান। এবারের নিলামে সবচেয়ে দামি বিদেশি লিয়াম লিভিংস্টোন বিদায় নেন দুই ছক্কা মেরেই। শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫০। শেষ ৩ ওভারে যা দাঁড়ায় ৩৬ রানে। সেই সমীকরণ এক ওভার বাকি থাকতেই মিলিয়ে দেন স্মিথ ও শাহরুখ। জীবন পাওয়ার পর ১৮তম ওভারে সিরাজকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারেন স্মিথ। পরের ওভারে হার্শাল প্যাটেলকে ছক্কা-চারে ম্যাচের ইতি টানেন শাহরুখ। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ও সেরা ফিনিশারদের একজন হিসেবে পরিচিত শাহরুখ আরেকবার দেখালেন তার সামর্থ্য। ২০ বলে ২ ছক্কা ও একটি চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর: ২০ ওভারে ২০৫/ ২ (দু প্লেসি ৮৮, রাওয়াত ২১, কোহলি ৪১, কার্তিক ৩২; সন্দিপ ৪-০-৩৭-০, আর্শদিপ ৪-০-৩১-১, স্মিথ ৪-০-৫২-০, রাহুল ৪-০-২২-১, ব্রার ৩-০-৩৮-০, লিভিংস্টোন ১-০-১৪-০)
পাঞ্জাব কিংস: ১৯ ওভারে ২০৮/৫ (মায়াঙ্ক ৩২, ধাওয়ান ৪৩, রাজাপাকসা ৪৩, লিভিংস্টোন ১৯, বাওয়া ০, শাহরুখ ২৪, স্মিথ ২৫; উইলি ৩-০-২৮-০, সিরাজ ৪-০-৫৯-২, শাহবাজ ১-০-৬-০, আকাশ ৩-০-৩৮-১, হাসারাঙ্গা ৪-০-৪০-১, হার্শাল ৪-০-৩৬-১
ফল: পাঞ্জাব কিংস ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওডেন স্মিথ