ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

জমির বিরোধে মাটিতে পুঁতে নির্যাতন!

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে মাটিতে পুঁতে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বলে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান। এ সময় পুলিশ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে নূর ইসলামকে (৪৫) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- নূর ইসলামের চাচা আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও তাদের ছেলে মোক্তার হোসেন।
এ ঘটনায় নূর ইসলামের স্ত্রী নাহার বেগম বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, আবু তাহের ও আলিমদ্দিন দুই ভাই। আবু তাহের মারা যাওয়ার পর তার ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে চাচা আলিমদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে সালিশ হয়েছে।
“শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন এবং তার স্ত্রী-ছেলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায়। তারা নূর ইসলামকে আটকে হাত বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের সামনে মাটি খুঁড়ে সেখানে বুক পর্যন্ত নূরকে পুঁতে ফেলা হয়।” ওসি বলেন, এ সময় নূরের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও ‘প্রভাবশালী’ আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে কেউ একজন ওই ঘটার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামপুলিশের সহায়তায় নূর ইসলামকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত নূর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ”জমি নিয়ে চাচার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। চাচা আমাকে প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিত। হত্যা করার জন্যই আমার বাড়িতে এসে আমাকে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
“আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশ এসে আমাকে আর আমার মেয়েজামাইকে উদ্ধার করেছে।” নূর ইসলামের জামাতা মফিজুল বলেন, শ্বশুরকে পুঁতে ফেলার পর তিনি বাঁচাতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার ওপরও আলিমদ্দিনের লোকজন আক্রমণ করে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নালিতাবাড়ী থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জমির বিরোধে মাটিতে পুঁতে নির্যাতন!

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে মাটিতে পুঁতে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বলে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান। এ সময় পুলিশ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে নূর ইসলামকে (৪৫) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- নূর ইসলামের চাচা আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও তাদের ছেলে মোক্তার হোসেন।
এ ঘটনায় নূর ইসলামের স্ত্রী নাহার বেগম বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, আবু তাহের ও আলিমদ্দিন দুই ভাই। আবু তাহের মারা যাওয়ার পর তার ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে চাচা আলিমদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে সালিশ হয়েছে।
“শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন এবং তার স্ত্রী-ছেলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায়। তারা নূর ইসলামকে আটকে হাত বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের সামনে মাটি খুঁড়ে সেখানে বুক পর্যন্ত নূরকে পুঁতে ফেলা হয়।” ওসি বলেন, এ সময় নূরের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও ‘প্রভাবশালী’ আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে কেউ একজন ওই ঘটার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামপুলিশের সহায়তায় নূর ইসলামকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত নূর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ”জমি নিয়ে চাচার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। চাচা আমাকে প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিত। হত্যা করার জন্যই আমার বাড়িতে এসে আমাকে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
“আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশ এসে আমাকে আর আমার মেয়েজামাইকে উদ্ধার করেছে।” নূর ইসলামের জামাতা মফিজুল বলেন, শ্বশুরকে পুঁতে ফেলার পর তিনি বাঁচাতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার ওপরও আলিমদ্দিনের লোকজন আক্রমণ করে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নালিতাবাড়ী থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।