ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ স্পিনেই সর্বনাশ হয়েছে, মনে করেন বাউচার

  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : স্পিন খেলার জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার, বাংলাদেশ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তা চোখে পড়েনি মার্ক বাউচারের। প্রোটিয়াদের প্রধান কোচের মতে, স্পিনের সামনে মনের বাঘের ভয় কাল হয়েছে তাদের জন্য। আউট হওয়ার ভয়েই আউট হয়ে গেছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।
চলতি সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনোই টেস্ট ও ওয়ানডেতে জেতেনি বাংলাদেশ। এবার প্রথম ওয়ানডেতেই ঘুচে যায় সেই অপূর্ণতা। সেই জয়ে নায়কদের একজন ছিলেন মিরাজ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনার ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়। বাংলাদেশ জিতে যায় ৩৮ রানে। বুধবারের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে দ্রুতগতিতে তুলে ফেলে ৪৬ রান। বাংলাদেশকে তখন প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজই। এরপর আর কোনো জুটিই পারেনি শুরুর জুটিকে ছাড়িয়ে যেতে। অসাধারণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ ম্যাচ সেরা হলেও প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রাখতে সাকিব ও মিরাজের অবদান কম ছিল না। ৯ ওভার করা বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মিরাজ ৫ ওভারে দেন ২৭ রান, উইকেট ওই একটিই। ১৫৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে নেয় ৯ উইকেটে। প্রথমবারের মতো দেশটির মাটিতে কোনো সংস্করণে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাউচারের কণ্ঠে বারবারই শোনা গেছে, স্পিনারদের চেপে বসতে দিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা। “আমি মনে করি, ওয়ানডেতে আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটার ওপর বিশ্বাস রাখা দরকার। শ্রীলঙ্কায় আমরা স্পিন ভালো খেলেছি। কিন্তু যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে খেলেছি, আমরা পুরনো খেলার ধরনে ফিরে গেছি। এখনও এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কথা হচ্ছে, ছেলেদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা চলছে যে টার্নিং কন্ডিশনে এটাই খেলার ধরন।” “আমাদের ঘরের মাঠে এটা ছিল প্রায় ভারতীয় কন্ডিশনের মতো। আমরা ছেলেদের সক্রিয় রাখতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আজ তেমনটা ছিল না। শট নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি আমরা। ছেলেরা জানে তাদের মধ্যে সেই সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু নিজের সামর্থ্য বোঝা এক ব্যাপার, আর তা বাস্তবায়ন করা আরেক। খেলাটি যে রানের, সেটা বুঝতে পারা এবং ব্যর্থতার ভয় মন থেকে সরিয়ে রাখার বদলে তাদের মধ্যে আউট হওয়ার ভয় কাজ করতে দেখা গেছে।” সেঞ্চুরিয়নের যে উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং, সেখানেই ছড়ি ঘোরান তামিম ইকবাল। ৮৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাউচারের কণ্ঠে ঝরল আক্ষেপ। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি নিজে ছিলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেটার। তার কোচিংয়ে দল এ দিন ভয়কে জয় করতে পারেনি বলেই মনে করেন কিংবদন্তি এই কিপার। “ আমাদের অভিপ্রায়ে ঘাটতি ছিল। খুবই ভালো একটি শুরুর পর আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, অবশ্যই সেরকম ছিল না। ভালো শুরুর পর খেলাটিকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। আমরা সেটা করতে পারিনি।”
“তারা ভালো বোলিং করেছে কিন্তু রান করার সুযোগ তৈরি করতে কিছুটা ঝুঁকি নিতে হবে। ভালো একটি সংগ্রহ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে মনে হয়েছে যেন, আমরা আউট হওয়ার ভয়ে ছিলাম। উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, ৩০০ রানের বেশি (হওয়া উচিত ছিল)।” ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার দুই দল খেলবে দুটি টেস্ট। প্রথমটি শুরু আগামী বৃহস্পতিবার, ডারবানে। পোর্ট এলিজাবেথে পরেরটি শুরু ৮ এপ্রিল।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

বাংলাদেশ স্পিনেই সর্বনাশ হয়েছে, মনে করেন বাউচার

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : স্পিন খেলার জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার, বাংলাদেশ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তা চোখে পড়েনি মার্ক বাউচারের। প্রোটিয়াদের প্রধান কোচের মতে, স্পিনের সামনে মনের বাঘের ভয় কাল হয়েছে তাদের জন্য। আউট হওয়ার ভয়েই আউট হয়ে গেছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।
চলতি সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনোই টেস্ট ও ওয়ানডেতে জেতেনি বাংলাদেশ। এবার প্রথম ওয়ানডেতেই ঘুচে যায় সেই অপূর্ণতা। সেই জয়ে নায়কদের একজন ছিলেন মিরাজ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনার ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়। বাংলাদেশ জিতে যায় ৩৮ রানে। বুধবারের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে দ্রুতগতিতে তুলে ফেলে ৪৬ রান। বাংলাদেশকে তখন প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজই। এরপর আর কোনো জুটিই পারেনি শুরুর জুটিকে ছাড়িয়ে যেতে। অসাধারণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ ম্যাচ সেরা হলেও প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রাখতে সাকিব ও মিরাজের অবদান কম ছিল না। ৯ ওভার করা বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মিরাজ ৫ ওভারে দেন ২৭ রান, উইকেট ওই একটিই। ১৫৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে নেয় ৯ উইকেটে। প্রথমবারের মতো দেশটির মাটিতে কোনো সংস্করণে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাউচারের কণ্ঠে বারবারই শোনা গেছে, স্পিনারদের চেপে বসতে দিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা। “আমি মনে করি, ওয়ানডেতে আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটার ওপর বিশ্বাস রাখা দরকার। শ্রীলঙ্কায় আমরা স্পিন ভালো খেলেছি। কিন্তু যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে খেলেছি, আমরা পুরনো খেলার ধরনে ফিরে গেছি। এখনও এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কথা হচ্ছে, ছেলেদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা চলছে যে টার্নিং কন্ডিশনে এটাই খেলার ধরন।” “আমাদের ঘরের মাঠে এটা ছিল প্রায় ভারতীয় কন্ডিশনের মতো। আমরা ছেলেদের সক্রিয় রাখতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আজ তেমনটা ছিল না। শট নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি আমরা। ছেলেরা জানে তাদের মধ্যে সেই সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু নিজের সামর্থ্য বোঝা এক ব্যাপার, আর তা বাস্তবায়ন করা আরেক। খেলাটি যে রানের, সেটা বুঝতে পারা এবং ব্যর্থতার ভয় মন থেকে সরিয়ে রাখার বদলে তাদের মধ্যে আউট হওয়ার ভয় কাজ করতে দেখা গেছে।” সেঞ্চুরিয়নের যে উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং, সেখানেই ছড়ি ঘোরান তামিম ইকবাল। ৮৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাউচারের কণ্ঠে ঝরল আক্ষেপ। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি নিজে ছিলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেটার। তার কোচিংয়ে দল এ দিন ভয়কে জয় করতে পারেনি বলেই মনে করেন কিংবদন্তি এই কিপার। “ আমাদের অভিপ্রায়ে ঘাটতি ছিল। খুবই ভালো একটি শুরুর পর আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, অবশ্যই সেরকম ছিল না। ভালো শুরুর পর খেলাটিকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। আমরা সেটা করতে পারিনি।”
“তারা ভালো বোলিং করেছে কিন্তু রান করার সুযোগ তৈরি করতে কিছুটা ঝুঁকি নিতে হবে। ভালো একটি সংগ্রহ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে মনে হয়েছে যেন, আমরা আউট হওয়ার ভয়ে ছিলাম। উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, ৩০০ রানের বেশি (হওয়া উচিত ছিল)।” ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার দুই দল খেলবে দুটি টেস্ট। প্রথমটি শুরু আগামী বৃহস্পতিবার, ডারবানে। পোর্ট এলিজাবেথে পরেরটি শুরু ৮ এপ্রিল।