ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

রোজায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাঠে থাকবে ১০ ভ্রাম্যমাণ আদালত

  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র রমজানে নগরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে এক কর্মশালায় মেয়র এ কথা জানান।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ইফতার প্রস্তুতকরণ ও বিপণনে জড়িত ব্যবসায়ীদের নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে ডিএনসিসি। কর্মশালায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালীর দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ মালিক এবং কর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্মশালার এ আয়োজন খুবই দরকার ছিল। কারণ আমরা কোনো রেস্তোরাঁকে জরিমানা করতে চাই না। রেস্তোরাঁ মালিকদের পুরস্কার দিতে চাই। সবাই মিলে চেষ্টা করলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবো।
মেয়র বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এজন্য এক রেস্তোরাঁর মালিক আরেক রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতে হবে। এভাবে প্রত্যেককে সচেতন করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ থাকবে না জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা অসুস্থ হয়ে যাবে। তবে নগরে অনেক রেস্টুরেন্ট ভালো আছে। কিন্তু চটপটি, পরোটার দোকানগুলোতে নিরাপদ খাদ্য নেই। এগুলোতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
স্ট্রিট ফুড নিরাপদ নিশ্চিতে ডিএনসিসি এলাকায় ১০০টি নিরাপদ খাদ্যের গাড়ি নামানো হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ গাড়িগুলো বিধবা, অসহায় নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দেওয়া হবে। এসব গাড়িতে কিউআর কোড থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখবো, তারা কীভাবে খাদ্য তৈরি করে। এটা সফল হলে আরও ১০০টি স্ট্রিট ফুডের গাড়ি দেওয়া হবে। এভাবে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে চাই।
মেয়র বলেন, ‘এই শহর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এবং যানজট নিরসন আমাদের দায়িত্ব। আমরা এই শহরকে ভালোবাসবো। তারপর কেউ রমজানে খাদ্যে ভেজাল দিলে আইনের যত ধারা আছে, তার প্রয়োগ করা হবে। পৃথকভাবে ডিএনসিসির ১০টি আঞ্চলিক কর্মকর্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. কাইউম সরকার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, এফ এ এ এর চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জন টেইলর প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোজায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাঠে থাকবে ১০ ভ্রাম্যমাণ আদালত

আপডেট সময় : ১০:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র রমজানে নগরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে এক কর্মশালায় মেয়র এ কথা জানান।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ইফতার প্রস্তুতকরণ ও বিপণনে জড়িত ব্যবসায়ীদের নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে ডিএনসিসি। কর্মশালায় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালীর দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ মালিক এবং কর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্মশালার এ আয়োজন খুবই দরকার ছিল। কারণ আমরা কোনো রেস্তোরাঁকে জরিমানা করতে চাই না। রেস্তোরাঁ মালিকদের পুরস্কার দিতে চাই। সবাই মিলে চেষ্টা করলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবো।
মেয়র বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এজন্য এক রেস্তোরাঁর মালিক আরেক রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতে হবে। এভাবে প্রত্যেককে সচেতন করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ থাকবে না জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা অসুস্থ হয়ে যাবে। তবে নগরে অনেক রেস্টুরেন্ট ভালো আছে। কিন্তু চটপটি, পরোটার দোকানগুলোতে নিরাপদ খাদ্য নেই। এগুলোতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
স্ট্রিট ফুড নিরাপদ নিশ্চিতে ডিএনসিসি এলাকায় ১০০টি নিরাপদ খাদ্যের গাড়ি নামানো হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ গাড়িগুলো বিধবা, অসহায় নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দেওয়া হবে। এসব গাড়িতে কিউআর কোড থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখবো, তারা কীভাবে খাদ্য তৈরি করে। এটা সফল হলে আরও ১০০টি স্ট্রিট ফুডের গাড়ি দেওয়া হবে। এভাবে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে চাই।
মেয়র বলেন, ‘এই শহর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এবং যানজট নিরসন আমাদের দায়িত্ব। আমরা এই শহরকে ভালোবাসবো। তারপর কেউ রমজানে খাদ্যে ভেজাল দিলে আইনের যত ধারা আছে, তার প্রয়োগ করা হবে। পৃথকভাবে ডিএনসিসির ১০টি আঞ্চলিক কর্মকর্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. কাইউম সরকার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, এফ এ এ এর চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জন টেইলর প্রমুখ।