ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা ছিল’

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্সে পণ্যের অর্ডার দেওয়া আরও ৩৩ জন গ্রাহক তাদের টাকার কিছু অংশ ফেরত পেয়েছেন। এর মধ্যে আলিফ ওয়ার্ল্ডের ২১ জন গ্রাহক ২৬ লাখ টাকা ও শ্রেষ্ঠ ডটকমের ১১ জন গ্রাহক ১৭ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন।গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
টাকা ফেরত পাওয়া শ্রেষ্ঠ ডটকমের একজন গ্রাহক মো. ফারুক মিয়া। তিনি একটি বেরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি ছয়টি প্রতিষ্ঠানে মোট ৬০ লাখ টাকার পণ্যের অর্ডার করেছিলেন। তিনি একাই ৩০টি মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ২৪ আগস্ট নগদের মাধ্যমে এসএসএলে পেমেন্ট করেছি। তারা বলেছিল ৩৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেবে। দিতে পারেনি। পরে তারা বারবার সময় দিয়েও ঘুরাচ্ছিল। আজকে এসএসএলের একটি পেমেন্টের দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকা পেয়েছি। অন্যগুলো থেকে কোনো টাকা পাইনি। তিনি বলেন, এখন আমরা শিক্ষা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও এটা সতর্কবার্তা।
‘ব্যবসা এত সহজ না। আমরা যেখানেই বিনিয়োগ করি না কেন, আমাদের কষ্টের টাকাগুলো…। আমরা শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা ছিল, আমি ছোটবেলা থেকে পরিশ্রম করে টাকাগুলো জমিয়েছিলাম, আজকে আমি লসে পড়ে গেছি। তারপরও আমি টিকে আছি আল্লাহর রহমতে।’ যোগ করেন ফারুক মিয়া।
গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই টাকা বিনিয়োগের আগে একটু চিন্তা করে বিনিয়োগ করবেন। আরেকটি কথা হচ্ছে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলবেন। বাবা, বড়ভাই কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তারপর টাকাটা বিনিযোগ করবেন।
এই গ্রাহক আরও বলেন, আমরা যেটা চিন্তা করি যে, টাকাটা আমি চুপি চুপি ইনকাম করে ফেলবো। আত্মীয়স্বজন, পরিবারের লোকজন, বন্ধু-বান্ধব জানতে পারলে টাকা ধার চাইবে। বিষয় সেটা নয়, আপনার আয়ের ওপর সবার হক আছে। যতটুকু পারেন সহায়তা করবেন, না পারবেন করবেন না। আমার মতো হুজুগে বাঙালি হয়ে বিনিয়োগ করবেন না, এটাই সবার প্রতি আমরা অনুরোধ। এসময় অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ফারুক মিয়াকে বলেন, আপনি প্রাইভেট জব করেন, তরুণ মানুষ, ৬০ লাখ টাকা অন্ধকারের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। ডিজাস্টার শুরু হয়েছে জুন থেকে, তারপরও আপনি বিনিয়োগ করেছেন। ‘আমরা সচেতন না হলে এই অবস্থান পরিবর্তন হবে না। আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে, আইন করে এগুলো ঠেকানো যবে না’ বলেন অতিরিক্ত সচিব। যশোর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আরেক গ্রাহক বলেন, অল্পসময়ে বেশি লাভ করার লোভ করা ঠিক না। এতকিছুর পরও যারা লোভ করবে তারা বোকামি করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা ছিল’

আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্সে পণ্যের অর্ডার দেওয়া আরও ৩৩ জন গ্রাহক তাদের টাকার কিছু অংশ ফেরত পেয়েছেন। এর মধ্যে আলিফ ওয়ার্ল্ডের ২১ জন গ্রাহক ২৬ লাখ টাকা ও শ্রেষ্ঠ ডটকমের ১১ জন গ্রাহক ১৭ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন।গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
টাকা ফেরত পাওয়া শ্রেষ্ঠ ডটকমের একজন গ্রাহক মো. ফারুক মিয়া। তিনি একটি বেরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি ছয়টি প্রতিষ্ঠানে মোট ৬০ লাখ টাকার পণ্যের অর্ডার করেছিলেন। তিনি একাই ৩০টি মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ২৪ আগস্ট নগদের মাধ্যমে এসএসএলে পেমেন্ট করেছি। তারা বলেছিল ৩৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেবে। দিতে পারেনি। পরে তারা বারবার সময় দিয়েও ঘুরাচ্ছিল। আজকে এসএসএলের একটি পেমেন্টের দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকা পেয়েছি। অন্যগুলো থেকে কোনো টাকা পাইনি। তিনি বলেন, এখন আমরা শিক্ষা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও এটা সতর্কবার্তা।
‘ব্যবসা এত সহজ না। আমরা যেখানেই বিনিয়োগ করি না কেন, আমাদের কষ্টের টাকাগুলো…। আমরা শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা ছিল, আমি ছোটবেলা থেকে পরিশ্রম করে টাকাগুলো জমিয়েছিলাম, আজকে আমি লসে পড়ে গেছি। তারপরও আমি টিকে আছি আল্লাহর রহমতে।’ যোগ করেন ফারুক মিয়া।
গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই টাকা বিনিয়োগের আগে একটু চিন্তা করে বিনিয়োগ করবেন। আরেকটি কথা হচ্ছে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলবেন। বাবা, বড়ভাই কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তারপর টাকাটা বিনিযোগ করবেন।
এই গ্রাহক আরও বলেন, আমরা যেটা চিন্তা করি যে, টাকাটা আমি চুপি চুপি ইনকাম করে ফেলবো। আত্মীয়স্বজন, পরিবারের লোকজন, বন্ধু-বান্ধব জানতে পারলে টাকা ধার চাইবে। বিষয় সেটা নয়, আপনার আয়ের ওপর সবার হক আছে। যতটুকু পারেন সহায়তা করবেন, না পারবেন করবেন না। আমার মতো হুজুগে বাঙালি হয়ে বিনিয়োগ করবেন না, এটাই সবার প্রতি আমরা অনুরোধ। এসময় অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ফারুক মিয়াকে বলেন, আপনি প্রাইভেট জব করেন, তরুণ মানুষ, ৬০ লাখ টাকা অন্ধকারের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। ডিজাস্টার শুরু হয়েছে জুন থেকে, তারপরও আপনি বিনিয়োগ করেছেন। ‘আমরা সচেতন না হলে এই অবস্থান পরিবর্তন হবে না। আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে, আইন করে এগুলো ঠেকানো যবে না’ বলেন অতিরিক্ত সচিব। যশোর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আরেক গ্রাহক বলেন, অল্পসময়ে বেশি লাভ করার লোভ করা ঠিক না। এতকিছুর পরও যারা লোভ করবে তারা বোকামি করবে।