ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিনোভ্যাকের দেড় কোটি ডোজ টিকা আনার চেষ্টা চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীন থেকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক দেড় কোটি ডোজ টিকা আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাক কেনার জন্য সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীন থেকে ইতোমধ্যে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে, যা গত ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিনোভ্যাকের দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার চেষ্টা চলছে। সেরাম থেকে টিকা সংগ্রহের বিষয়ে জাহিদ মালেক জানান, সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার। এ সময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ খুবই সফলতা দেখিয়েছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড়া দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য তার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমরা কিন্তু মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছয় হাজারের মতো আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মাত্র একটি ল্যাব ছিল, এখন ৫০০টি ল্যাব কাজ করছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ১৩ হাজার বেড অক্সিজেন লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ লোককে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান। এসব উন্নয়নের কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর হার আড়াই শতাংশ। করোনার কারণে কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছে না। তারা এই দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশে সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৬ শতাংশে আছে। অনেক বড় বড় দেশ এটা পারেনি বলে ধরাশায়ী হয়েছে। বাংলাদেশ সেটা পেরেছে বলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে। যারা বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে বলেন তারা এটা উপলব্ধি করছেন। আমরা মনে করি বরাদ্দ বাড়ালে ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিকে আমরা কিন্তু ছাড় দিচ্ছি না। স্বাস্থ্যখাতে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে তারা কিন্তু জেলে আছে। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন চলমান। বাংলাদেশে অক্সিজেনের অভাব হয়নি। অক্সিজেনের ৩০টি প্ল্যান্ট বসিয়েছি, আরও ৩০টি প্রক্রিয়াধীন। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিচ্ছি। ভ্যাকসিন কিনছি, আরও অনেক কিনতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির ভ্যাকসিনের জন্য তিন হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর যারা আইসিইউতে থাকছেন তাদের জন্য ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিনোভ্যাকের দেড় কোটি ডোজ টিকা আনার চেষ্টা চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীন থেকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক দেড় কোটি ডোজ টিকা আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাক কেনার জন্য সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীন থেকে ইতোমধ্যে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে, যা গত ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিনোভ্যাকের দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার চেষ্টা চলছে। সেরাম থেকে টিকা সংগ্রহের বিষয়ে জাহিদ মালেক জানান, সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার। এ সময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ খুবই সফলতা দেখিয়েছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড়া দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য তার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমরা কিন্তু মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছয় হাজারের মতো আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মাত্র একটি ল্যাব ছিল, এখন ৫০০টি ল্যাব কাজ করছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ১৩ হাজার বেড অক্সিজেন লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ লোককে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান। এসব উন্নয়নের কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর হার আড়াই শতাংশ। করোনার কারণে কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছে না। তারা এই দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশে সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৬ শতাংশে আছে। অনেক বড় বড় দেশ এটা পারেনি বলে ধরাশায়ী হয়েছে। বাংলাদেশ সেটা পেরেছে বলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে। যারা বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে বলেন তারা এটা উপলব্ধি করছেন। আমরা মনে করি বরাদ্দ বাড়ালে ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিকে আমরা কিন্তু ছাড় দিচ্ছি না। স্বাস্থ্যখাতে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে তারা কিন্তু জেলে আছে। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন চলমান। বাংলাদেশে অক্সিজেনের অভাব হয়নি। অক্সিজেনের ৩০টি প্ল্যান্ট বসিয়েছি, আরও ৩০টি প্রক্রিয়াধীন। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিচ্ছি। ভ্যাকসিন কিনছি, আরও অনেক কিনতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির ভ্যাকসিনের জন্য তিন হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর যারা আইসিইউতে থাকছেন তাদের জন্য ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।