ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

কুমড়ার বীজ খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায়

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পরিমাণে বেশি নয়, কুমড়ার বীজ নাস্তায় কিংবা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া বেশি উপকারী। নানান রকমের পুষ্টিগুণ থাকায় কুমড়ার বীজ ‘সুপার ফুড’ হিসেবে বিবেচিত। “কুমড়ার বীজ মূল্যবান পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আমাদেরকে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বির যোগান দেয়। আর প্রদাহ কমায়।”
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই কুমড়ার বীজের গুণের কথা বলেন ভারতে ‘ফিটনেস অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্টিস্ট’ ডা. সিদ্ধান্ত ভার্গব। ‘ফুড দর্জি’ প্রতিষ্ঠানের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, “টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে কুমাড়ার বীজ।”
ঘুম ভালো করে : ভালো ঘুমে সহায়তা করে কুমড়ার বীজ। “যদি ঘুমের সমস্যা হয় তবে ঘুমানোর আগে কুমড়োর বীজ খাওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এটা ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা মূলত একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। ফলে ঘুম ভালো হয়,” বলেন ডা. ভার্গভ। আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ট্রিপটোফ্যান পেতে ২০০ গ্রাম কুমড়ার বীজ প্রয়োজন। এছাড়াও, এই বীজগুলোতে রয়েছে জিঙ্ক যা ট্রিপটোফেনকে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত করে। যা আবার মেলাটোনিন হরমনে পরিবর্তিত হয়। এই হরমোন ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা : ডা.ভার্গব বলেন, “কুমড়ার বীজ ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও উপকারী। এতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিকারক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড।” এছাড়াও এতে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা চুলকে শক্তিশালী ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে কোলাজেনকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : “কুমড়ার বীজ ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়,” বলেন ডা. ভার্গব। তবে কুমড়ার বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি পরিমাণের প্রতি লক্ষ রাখার কথা বলেন। কারণ এগুলো উচ্চ শক্তি সরবারহ করে। অতিরিক্ত চর্বি, ক্যালোরি এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কমানোর জন্য কাঁচা, লবণ-হীন বীজ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যদিও কুমড়োর বীজে ক্যালোরি বেশি। তবে সেগুলো প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই পরিমিত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার আদর্শ উপায় : কুমড়ার বীজ একটি চমৎকার খাবার যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য জরুরি। ডা. ভার্গব বলেন, “এই সুস্বাদু বীজ খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হল সকালের খাবার বা নাস্তার মধ্যে খাওয়া। প্রতিদিনের সালাদের সঙ্গে সুস্বাদু কুমড়ার বীজ যোগ করা যেতে পারে। এছাড়াও বিকালের নাস্তায় ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে এই বীজ অনন্য। আর বেইক করা খাবারেও কুমড়ার বীজ যোগ করা যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কুমড়ার বীজ খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায়

আপডেট সময় : ১০:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পরিমাণে বেশি নয়, কুমড়ার বীজ নাস্তায় কিংবা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া বেশি উপকারী। নানান রকমের পুষ্টিগুণ থাকায় কুমড়ার বীজ ‘সুপার ফুড’ হিসেবে বিবেচিত। “কুমড়ার বীজ মূল্যবান পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আমাদেরকে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বির যোগান দেয়। আর প্রদাহ কমায়।”
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই কুমড়ার বীজের গুণের কথা বলেন ভারতে ‘ফিটনেস অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্টিস্ট’ ডা. সিদ্ধান্ত ভার্গব। ‘ফুড দর্জি’ প্রতিষ্ঠানের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, “টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে কুমাড়ার বীজ।”
ঘুম ভালো করে : ভালো ঘুমে সহায়তা করে কুমড়ার বীজ। “যদি ঘুমের সমস্যা হয় তবে ঘুমানোর আগে কুমড়োর বীজ খাওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এটা ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা মূলত একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। ফলে ঘুম ভালো হয়,” বলেন ডা. ভার্গভ। আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ট্রিপটোফ্যান পেতে ২০০ গ্রাম কুমড়ার বীজ প্রয়োজন। এছাড়াও, এই বীজগুলোতে রয়েছে জিঙ্ক যা ট্রিপটোফেনকে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত করে। যা আবার মেলাটোনিন হরমনে পরিবর্তিত হয়। এই হরমোন ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা : ডা.ভার্গব বলেন, “কুমড়ার বীজ ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও উপকারী। এতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিকারক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড।” এছাড়াও এতে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা চুলকে শক্তিশালী ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে কোলাজেনকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : “কুমড়ার বীজ ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়,” বলেন ডা. ভার্গব। তবে কুমড়ার বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি পরিমাণের প্রতি লক্ষ রাখার কথা বলেন। কারণ এগুলো উচ্চ শক্তি সরবারহ করে। অতিরিক্ত চর্বি, ক্যালোরি এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কমানোর জন্য কাঁচা, লবণ-হীন বীজ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যদিও কুমড়োর বীজে ক্যালোরি বেশি। তবে সেগুলো প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই পরিমিত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার আদর্শ উপায় : কুমড়ার বীজ একটি চমৎকার খাবার যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য জরুরি। ডা. ভার্গব বলেন, “এই সুস্বাদু বীজ খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হল সকালের খাবার বা নাস্তার মধ্যে খাওয়া। প্রতিদিনের সালাদের সঙ্গে সুস্বাদু কুমড়ার বীজ যোগ করা যেতে পারে। এছাড়াও বিকালের নাস্তায় ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে এই বীজ অনন্য। আর বেইক করা খাবারেও কুমড়ার বীজ যোগ করা যায়।