ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, লড়াই-সংগ্রাম করছি। প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন মোড়কে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছে তারা, নির্বাচনও করে, সে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে— এখন ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন। তারা নির্বাচন করবে আবার দেখা যাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন, আর তারা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অধিকারটুকু সম্পূর্ণ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতি দিন নতুন নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভিন্ন মত পোষণকারীদেরকে দমন করা হচ্ছে।’
সামনে কঠিন সময় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ, কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লড়াই তখনই সফল হবে, যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারি। জাগিয়ে তুলে রাস্তায় নিয়ে এসে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে, সরকারকে পরাজিত করতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, দলে যাদের অবদান রয়েছে, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য রাষ্ট্রের জন্য, তাদের বেশিরভাগকেই আজকে আমরা দল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মরণ করি না, দুই একজন ছাড়া।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অন্যদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি: ফখরুল

আপডেট সময় : ০১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, লড়াই-সংগ্রাম করছি। প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন মোড়কে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছে তারা, নির্বাচনও করে, সে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে— এখন ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন। তারা নির্বাচন করবে আবার দেখা যাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন, আর তারা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অধিকারটুকু সম্পূর্ণ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতি দিন নতুন নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভিন্ন মত পোষণকারীদেরকে দমন করা হচ্ছে।’
সামনে কঠিন সময় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ, কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লড়াই তখনই সফল হবে, যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারি। জাগিয়ে তুলে রাস্তায় নিয়ে এসে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে, সরকারকে পরাজিত করতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, দলে যাদের অবদান রয়েছে, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য রাষ্ট্রের জন্য, তাদের বেশিরভাগকেই আজকে আমরা দল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মরণ করি না, দুই একজন ছাড়া।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অন্যদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।