পঞ্চগড় প্রতিনিধি : আগামী নির্বাচনেও ভোট দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি নয়াপল্টন অফিসে বসে প্রতিদিনই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজায়। তাদের ঘণ্টা বাজানোতে জনগণ সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আগামীতেও জনগণের ভোটে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি বলে আসছে আমাদের দিন ঘনিয়ে আসছে। তারা যতই বলছে, জনগণ ততই আমাদের পক্ষে আসছে।
সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ উপরের দিকে উঠে আসার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রকাশিত সুখী দেশের সূচকে বাংলাদেশ আগের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে। এই করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমাদের অবস্থান ছিল ১০১, বর্তমানে ৯৪। যেখানে ভারতের অবস্থান ১৩৬ ও পাকিস্তানের অবস্থান ১২৬। আমরা ভারত ও পাকিস্তান থেকেও এগিয়ে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেসক্লাবে গিয়ে বিএনপি ঘরানার সাংবাদিকদের সামনে অনেক কথা বলেছেন। তারা যে কথা বলছে, জাতিসংঘের রিপোর্টের পর তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করে, তা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন এবং গত ১৩ বছরে যেভাবে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে তা অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেও নেই।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াৎ হোসেন সফিক, এইচএন আশিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।