ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটো

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। রান্না করে খেতে বেশ মজাদার। সারা বছর জুড়ে এখন পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস। সবজি হিসাবে টমেটোর ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুপরিচিত। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে আসছে।
টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম সোলানাম লাইকোপারসিকাম। টমেটোর নানা ধরন রয়েছে যেমন প্লাম টমেটো, চেরি টমেটো, গ্রেপ টমেটো, বিফস্টিক টমেটো এবং টমবেরি। সারা পৃথিবীতে নানা রকমের টমেটো চাষ করা হয় কিন্তু সব থেকে প্রচলিত ধরনের টমেটো হল লাল রঙের টমেটো। টমেটো গাছ সাধরণত ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয় ও এর পাতা একটু লোমশ ধরনের হয়ে থাকে। লাল টমেটো ছাড়া হলুদ, কমলা, কালো,বাদামি, সাদা, গোলাপি ও বেগুনি রঙের টমেটোও চাষ করা হয়ে থাকে। টমেটোতে রয়েছে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’। টমেটো খেলে রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ফ্যাকাশে ভাব ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শরীরের পুষ্টির জন্য যা যা দরকার লৌহ এবং অন্য ক্ষার টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপেল, কমলালেবু, আঙুর প্রভৃতি দামি ফলের চেয়ে টমেটোতে রক্ত তৈরির ক্ষমতা বেশি আছে। এতে লবণ, পটাশ, লোহা, চুন আর ম্যাঙ্গানিজ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আসুন জেনে নিই টমেটো খাওয়ার উপকারিতা-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটা খুবই উপকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে টমেটো দেহের শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন টমেটা খেতে দেওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত টমেটো খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত টমেটো খেলে রক্ত শুদ্ধ হয়। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। প্রতিদিন এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে। টমেটায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন সি ত্বকে কলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রক্ষায়ও সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত দূর করতে টমেটার ভূমিকা অনেক। ব্রণ, রোদে পোড়ার মতো চামড়া সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর। সর্দি-কাশি হলে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন। জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক। গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন। ভিটামিন এ দ্বারা সমৃদ্ধ টমেটো চোখের জন্যে দারুণ উপকারী। বিশেষত চোখের মণি ভালো থাকার একটি প্রধান কারণ হল ভিটামিন এ যার ঘাটতি হলে অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে। টমেটোয় থাকা লাইকোপেন সেই সমস্ত রেডিক্যাল দূর করে যা চোখের নানা রোগের কারণ হতে পারে। এমনকি, সূর্যের প্রখর তাপ থেকে চোখকে রক্ষা করে এই লাইকোপেন।
উচ্চমাত্রায় ফাইবার কিন্তু কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তাই ওজন ঝরাতে সাহায্য করে টমেটো। টমেটোয় রয়েছে নানা রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন জিটা ক্যারোটিন, ফাইটোফ্লুএন্স ও ফাইটোন। এগুলো শরীরের ফোলাভাব কমিয়ে আর্থ্রাইটিস রোধ করতে সাহায্য করে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন- লাইকোপিন। তাই এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের ফ্রি রেডিকেলস দূর করে এবং ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। টমেটোর কারণে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার রোধ করতে সক্ষম লাইকোপিন। তাই সকলের জন্য টমেটো খাওয়া উপকারী হলেও, পুরুষদের বেশি করে টমেটো খাওয়া দরকার। টমেটোতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য অনেক উপকার। আপনার হাড় দুর্বল থাকে তবে টমেটো খেতে পারেন। চর্মরোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ত্বকে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রক্রিয়াজাত করে টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন। চর্মরোগ নিরাময়ে এর রস কাজ করে থাকে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।
মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সির অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন।
নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার পরিমাণ কমে যায়। টমেটো শরীরে অতিমাত্রায় প্রবেশ করলে এটি ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে, সীমিত পরিমাণে টমেটো খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ থাকার জন্য টমেটো সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটো

আপডেট সময় : ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। রান্না করে খেতে বেশ মজাদার। সারা বছর জুড়ে এখন পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস। সবজি হিসাবে টমেটোর ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুপরিচিত। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে আসছে।
টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম সোলানাম লাইকোপারসিকাম। টমেটোর নানা ধরন রয়েছে যেমন প্লাম টমেটো, চেরি টমেটো, গ্রেপ টমেটো, বিফস্টিক টমেটো এবং টমবেরি। সারা পৃথিবীতে নানা রকমের টমেটো চাষ করা হয় কিন্তু সব থেকে প্রচলিত ধরনের টমেটো হল লাল রঙের টমেটো। টমেটো গাছ সাধরণত ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা হয় ও এর পাতা একটু লোমশ ধরনের হয়ে থাকে। লাল টমেটো ছাড়া হলুদ, কমলা, কালো,বাদামি, সাদা, গোলাপি ও বেগুনি রঙের টমেটোও চাষ করা হয়ে থাকে। টমেটোতে রয়েছে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’। টমেটো খেলে রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ফ্যাকাশে ভাব ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শরীরের পুষ্টির জন্য যা যা দরকার লৌহ এবং অন্য ক্ষার টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপেল, কমলালেবু, আঙুর প্রভৃতি দামি ফলের চেয়ে টমেটোতে রক্ত তৈরির ক্ষমতা বেশি আছে। এতে লবণ, পটাশ, লোহা, চুন আর ম্যাঙ্গানিজ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আসুন জেনে নিই টমেটো খাওয়ার উপকারিতা-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটা খুবই উপকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে টমেটো দেহের শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন টমেটা খেতে দেওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত টমেটো খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত টমেটো খেলে রক্ত শুদ্ধ হয়। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। প্রতিদিন এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে। টমেটায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন সি ত্বকে কলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রক্ষায়ও সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত দূর করতে টমেটার ভূমিকা অনেক। ব্রণ, রোদে পোড়ার মতো চামড়া সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর। সর্দি-কাশি হলে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন। জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক। গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন। ভিটামিন এ দ্বারা সমৃদ্ধ টমেটো চোখের জন্যে দারুণ উপকারী। বিশেষত চোখের মণি ভালো থাকার একটি প্রধান কারণ হল ভিটামিন এ যার ঘাটতি হলে অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে। টমেটোয় থাকা লাইকোপেন সেই সমস্ত রেডিক্যাল দূর করে যা চোখের নানা রোগের কারণ হতে পারে। এমনকি, সূর্যের প্রখর তাপ থেকে চোখকে রক্ষা করে এই লাইকোপেন।
উচ্চমাত্রায় ফাইবার কিন্তু কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তাই ওজন ঝরাতে সাহায্য করে টমেটো। টমেটোয় রয়েছে নানা রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন জিটা ক্যারোটিন, ফাইটোফ্লুএন্স ও ফাইটোন। এগুলো শরীরের ফোলাভাব কমিয়ে আর্থ্রাইটিস রোধ করতে সাহায্য করে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন- লাইকোপিন। তাই এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের ফ্রি রেডিকেলস দূর করে এবং ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। টমেটোর কারণে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার রোধ করতে সক্ষম লাইকোপিন। তাই সকলের জন্য টমেটো খাওয়া উপকারী হলেও, পুরুষদের বেশি করে টমেটো খাওয়া দরকার। টমেটোতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা হাড়ের জন্য অনেক উপকার। আপনার হাড় দুর্বল থাকে তবে টমেটো খেতে পারেন। চর্মরোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ত্বকে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রক্রিয়াজাত করে টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন। চর্মরোগ নিরাময়ে এর রস কাজ করে থাকে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।
মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সির অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন।
নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। আর ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত। সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার পরিমাণ কমে যায়। টমেটো শরীরে অতিমাত্রায় প্রবেশ করলে এটি ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে, সীমিত পরিমাণে টমেটো খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ থাকার জন্য টমেটো সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।