ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

লঞ্চ প্যাডে এলো নাসার ‘চাঁদে যাওয়ার রকেট’

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : নাসার নতুন রকেট ‘‎‎স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ বা এসএলএস‎‎ অবশেষে লঞ্চ প্যাডে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষীত আর্টেমিস চন্দ্রাভিযানের আরও এক ধাপ কাছে পৌঁছলো নাসা।
মূল অভিযানে এসএলএস রকেটের সঙ্গে ওরিয়ন মহাকাশযানও জুড়ে দেওয়া হবে। ওই চেহারাতেই গত শুক্রবার ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ভোর ৪:১৫ মিনিটে প্রথমবারের মতো কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড ৩৯বি-তে এসএলএস ‎‎পৌঁছায় বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। লঞ্চপ্যাডে রেখে বেশকিছু পরীক্ষা করবে নাসা। সেগুলো সফল হলে ফের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এসএলএস।
মানববিহীন ‘‎‎আর্টেমিস ১’ চন্দ্র মিশনের‎‎ আগে অন্যতম শেষ পরীক্ষা হিসেবে নাসা একটি “ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল” চালাবে। এর ফলে প্রপেল্যান্ট লোড, কাউন্টডাউন পদ্ধতি এবং নিষ্কাশন ট্যাংকসহ লিফটঅফের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ চালাবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।‎
পরীক্ষাটি সফল হলে নাসা আর্টেমিস ১ উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারণ করবে। চলতি এই পরীক্ষা শেষে এটি ফের অ্যাসেম্বলি লাইনে ফেরত যাবে বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট। এই পরীক্ষায় প্রায় এক সপ্তাহ লাগতে পারে। পরীক্ষণ শেষে ফেরত যাওয়ার পর এর রিহার্সাল সেন্সর সরিয়ে ফেলা, ব্যাটারির চার্জ পূর্ণ করা, সর্বশেষ কার্গো যোগ করাসহ চূড়ান্ত পরীক্ষা চালবে এর ওপর। রকেটটি মূল উৎক্ষেপণের প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফের লঞ্চ প্যাডে আসবে। সেটি আগামী মে মাস বা তার পরে অস্থায়ীভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে নাসা।‎ চলতি পরীক্ষাটিকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। ২০১১ সালে এসএলএসের উন্নয়ন শুরু করার প্রায় এক দশকের মধ্যে এই প্রকল্পে দুই হাজার তিনশ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। লঞ্চ প্যাড রোলআউটের মাধ্যমে সেই বিনিয়োগের ফল দেখার পর্ব শুরু হলো। এটি ‘ওরিয়নে’র জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত। এর ফলে মানব মিশনও বাস্তবতার কাছাকাছি চলে আসছে। এসএলএসকে নাসার নতুন যুগের শুরুর প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসএলএস কেবল আর্টেমিস মিশনের জন্য নয় বরং এটি দশক জুড়ে নাসার গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানে প্রাথমিক লঞ্চার হিসাবে কাজ করবে বলে আশা রয়েছে। ‎‎স্পেসএক্সের স্টারশিপের‎‎ মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন রকেটগুলি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেও সম্ভবত এসএলএস-এর হাত ধরেই ইতিহাস তৈরি করা একাধিক মিশনের পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

লঞ্চ প্যাডে এলো নাসার ‘চাঁদে যাওয়ার রকেট’

আপডেট সময় : ১২:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : নাসার নতুন রকেট ‘‎‎স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ বা এসএলএস‎‎ অবশেষে লঞ্চ প্যাডে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষীত আর্টেমিস চন্দ্রাভিযানের আরও এক ধাপ কাছে পৌঁছলো নাসা।
মূল অভিযানে এসএলএস রকেটের সঙ্গে ওরিয়ন মহাকাশযানও জুড়ে দেওয়া হবে। ওই চেহারাতেই গত শুক্রবার ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ভোর ৪:১৫ মিনিটে প্রথমবারের মতো কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড ৩৯বি-তে এসএলএস ‎‎পৌঁছায় বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। লঞ্চপ্যাডে রেখে বেশকিছু পরীক্ষা করবে নাসা। সেগুলো সফল হলে ফের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এসএলএস।
মানববিহীন ‘‎‎আর্টেমিস ১’ চন্দ্র মিশনের‎‎ আগে অন্যতম শেষ পরীক্ষা হিসেবে নাসা একটি “ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল” চালাবে। এর ফলে প্রপেল্যান্ট লোড, কাউন্টডাউন পদ্ধতি এবং নিষ্কাশন ট্যাংকসহ লিফটঅফের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ চালাবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।‎
পরীক্ষাটি সফল হলে নাসা আর্টেমিস ১ উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারণ করবে। চলতি এই পরীক্ষা শেষে এটি ফের অ্যাসেম্বলি লাইনে ফেরত যাবে বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট। এই পরীক্ষায় প্রায় এক সপ্তাহ লাগতে পারে। পরীক্ষণ শেষে ফেরত যাওয়ার পর এর রিহার্সাল সেন্সর সরিয়ে ফেলা, ব্যাটারির চার্জ পূর্ণ করা, সর্বশেষ কার্গো যোগ করাসহ চূড়ান্ত পরীক্ষা চালবে এর ওপর। রকেটটি মূল উৎক্ষেপণের প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফের লঞ্চ প্যাডে আসবে। সেটি আগামী মে মাস বা তার পরে অস্থায়ীভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে নাসা।‎ চলতি পরীক্ষাটিকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। ২০১১ সালে এসএলএসের উন্নয়ন শুরু করার প্রায় এক দশকের মধ্যে এই প্রকল্পে দুই হাজার তিনশ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। লঞ্চ প্যাড রোলআউটের মাধ্যমে সেই বিনিয়োগের ফল দেখার পর্ব শুরু হলো। এটি ‘ওরিয়নে’র জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত। এর ফলে মানব মিশনও বাস্তবতার কাছাকাছি চলে আসছে। এসএলএসকে নাসার নতুন যুগের শুরুর প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসএলএস কেবল আর্টেমিস মিশনের জন্য নয় বরং এটি দশক জুড়ে নাসার গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানে প্রাথমিক লঞ্চার হিসাবে কাজ করবে বলে আশা রয়েছে। ‎‎স্পেসএক্সের স্টারশিপের‎‎ মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন রকেটগুলি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেও সম্ভবত এসএলএস-এর হাত ধরেই ইতিহাস তৈরি করা একাধিক মিশনের পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।