ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নোয়াখালীর দায়িত্বপ্রাপ্তরা আ.লীগকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে: সাংসদ একরাম

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি লুটেপুটে খাচ্ছে এবং দলকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সাংসদ।
বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে অত্যাচারী হিসেবে উল্লেখ করেন সাংসদ একরাম। বলেন, ‘সেলিম নিজেকে জনপ্রিয় মনে করেন। আসলে তা নয়, এ অঞ্চলের মানুষগুলো তাকে ও তাদের পছন্দ করে না।’
সাংসদ একরাম বলেন, ‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি সব লুটেপুটে খাচ্ছে। তারা জেলা আ.লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তবে তারা এ রকম কেন করছেন তা জানি না।’
একরামুল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মাস্টার্স করা অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকরি করেন। কিন্তু দেখা যায় ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি পড়ালেখার কিছুই জানেন না। বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিগ্রি পাসের নিচে কেউ বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে পারবেন না।’
সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহিন তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন নিয়োগ দিয়েছেন অভিযোগ করে সাংসদ একরাম বলেন, ‘একজন গরিব লোক যদি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেন, এই চাকরি করে যদি সংসার চালাতে না পারেন, তখন তো তিনি পিয়নগিরি না করে ধানায়পানায় করবেন, শিক্ষকদের কথাও শুনবেন না।’
যেসব বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (পিয়ন) কাজ করেন না, শিক্ষকদের কথা শোনেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন সাংসদ একরাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, তার হাতে কোনো নিয়োগ হয়নি। তিনি বলেন, ‘বরং এসব নিয়োগ বোর্ডে সাংসদের প্রতিনিধি ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। যদি ঘুষ নেওয়া হয় তাহলে তার (সাংসদ) লোকজন নিয়েছেন। শুধু এসব নিয়োগে নয়, জেলার সব নিয়োগে সাংসদ ও তার লোকজন ঘুষ নেন।’ নিজের দোষ ঢাকার জন্য অন্যের ওপরে দায় ছাপাচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন শিহাব উদ্দিন শাহিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নোয়াখালীর দায়িত্বপ্রাপ্তরা আ.লীগকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে: সাংসদ একরাম

আপডেট সময় : ০২:১৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি লুটেপুটে খাচ্ছে এবং দলকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সাংসদ।
বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে অত্যাচারী হিসেবে উল্লেখ করেন সাংসদ একরাম। বলেন, ‘সেলিম নিজেকে জনপ্রিয় মনে করেন। আসলে তা নয়, এ অঞ্চলের মানুষগুলো তাকে ও তাদের পছন্দ করে না।’
সাংসদ একরাম বলেন, ‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি সব লুটেপুটে খাচ্ছে। তারা জেলা আ.লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তবে তারা এ রকম কেন করছেন তা জানি না।’
একরামুল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মাস্টার্স করা অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকরি করেন। কিন্তু দেখা যায় ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি পড়ালেখার কিছুই জানেন না। বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিগ্রি পাসের নিচে কেউ বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে পারবেন না।’
সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহিন তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন নিয়োগ দিয়েছেন অভিযোগ করে সাংসদ একরাম বলেন, ‘একজন গরিব লোক যদি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেন, এই চাকরি করে যদি সংসার চালাতে না পারেন, তখন তো তিনি পিয়নগিরি না করে ধানায়পানায় করবেন, শিক্ষকদের কথাও শুনবেন না।’
যেসব বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (পিয়ন) কাজ করেন না, শিক্ষকদের কথা শোনেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন সাংসদ একরাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, তার হাতে কোনো নিয়োগ হয়নি। তিনি বলেন, ‘বরং এসব নিয়োগ বোর্ডে সাংসদের প্রতিনিধি ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। যদি ঘুষ নেওয়া হয় তাহলে তার (সাংসদ) লোকজন নিয়েছেন। শুধু এসব নিয়োগে নয়, জেলার সব নিয়োগে সাংসদ ও তার লোকজন ঘুষ নেন।’ নিজের দোষ ঢাকার জন্য অন্যের ওপরে দায় ছাপাচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন শিহাব উদ্দিন শাহিন।