ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

দলগত অবদানে মিলল ঐতিহাসিক জয়

  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শুরুতে হাল ধরেছিলেন তামিম, লিটন। মাঝে সাকিব, ইয়াসির। শেষে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও মিরাজ রাখলেন অবদান। প্রত্যেকের অবদানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে শুরুতেই শরিফুলের ধাক্কা। তাসকিন এক ওভারেই নিয়ে নেন জোড়া উইকেট। ফিরে এসে শরিফুল, তাসকিনের আবার সাফল্য। মাঝে সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। লেজটা কাটেন মিরাজ। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে। বাংলাদেশ প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে হারায় ৩৮ রানে।
ব্যাটিং, বোলিংয়ের ভালো দিনে ফিল্ডিংও হয়েছে আঁটসাঁট। আফিফের একটি ক্যাচ বাদে প্রত্যেকেই শতভাগ নিবেদন দেখিয়েছেন। তাতে মিলেছে ঐতিহাসিক জয়।
সাকিব ব্যাট হাতে ৭৭ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হলেও অধিনায়ক তামিমের চোখে এই জয়, ‘কমপ্লিট টিম উইন বাই এভরিওয়ান।’ সোজা কথায়, জয়ে দলের প্রত্যেকের ছিল অবদান। গণমাধ্যমে তামিম বলেছেন,‘আমার কাছে মনে হয় এটা কমপ্লিট গেম বাই এভরিওয়ান। এখানে সবার অবদান ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো একটা উদ্বোধনী জুটি হয়। সাকিব ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস খেলেছে। ইয়াসিরের ইনিংসটি অবিশ্বাস্য। রিয়াদ ভাইয়ের ছোট ২৫ রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আফিফের একটি চার ও একটি ছক্কা এবং মিরাজের দুইটি ছক্কাও সমান গুরুত্বের ছিল। একজন পয়েন্ট আউট করতে পারবো না যে ওর কারণেই জিতেছি। এটা এমন ম্যাচ ছিল যেখানে সবাই অবদান রেখেছে। সবারইৃ। ভালো ফিল্ডিং হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং হয়েছে। সব কিছুর দিক থেকে খুব খুশি।‘
বোলারদের থেকে নতুন বলে উইকেট প্রত্যাশা করছিলেন তামিম। শরিফুল ও তাসকিন দুজনই তাকে খুশি করেন। মিরাজ শুরুতে লাইন ও লেন্থ পেতে ভুগছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ধারালো আক্রমণে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বোলিং নিয়ে অধিনায়ক বলেছেন,‘বোলিংয়ে আমরা যখনই শুরুতে উইকেট পাই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা ম্যাচে আছি। কিন্তু এই মাঠ এমন যেখানে তিনশ রানও তাড়া করা যায়। কিন্তু পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছে এক কথায় রোমাঞ্চকর। মিরাজ যেভাবে ফিরে এসেছে তা দারুণ ছিল।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সুযোগ আছে সিরিজ জয়ের। একটি ম্যাচ হবে ওয়ান্ডারার্সে, একটি সেঞ্চুরিয়নেই। কাজটা কঠিন হবে তা মনে করিয়ে দিলেন তামিম,‘আমরা সিরিজটি জিততে পারি। এজন্য প্রতিটি সুযোগ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কারণ তারা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাইবে।’ ২০ মার্চ দুই দল আবার মাঠে নামবে। শেষ ওয়ানডে হবে ২৩ মার্চ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দলগত অবদানে মিলল ঐতিহাসিক জয়

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শুরুতে হাল ধরেছিলেন তামিম, লিটন। মাঝে সাকিব, ইয়াসির। শেষে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও মিরাজ রাখলেন অবদান। প্রত্যেকের অবদানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে শুরুতেই শরিফুলের ধাক্কা। তাসকিন এক ওভারেই নিয়ে নেন জোড়া উইকেট। ফিরে এসে শরিফুল, তাসকিনের আবার সাফল্য। মাঝে সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। লেজটা কাটেন মিরাজ। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে। বাংলাদেশ প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে হারায় ৩৮ রানে।
ব্যাটিং, বোলিংয়ের ভালো দিনে ফিল্ডিংও হয়েছে আঁটসাঁট। আফিফের একটি ক্যাচ বাদে প্রত্যেকেই শতভাগ নিবেদন দেখিয়েছেন। তাতে মিলেছে ঐতিহাসিক জয়।
সাকিব ব্যাট হাতে ৭৭ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হলেও অধিনায়ক তামিমের চোখে এই জয়, ‘কমপ্লিট টিম উইন বাই এভরিওয়ান।’ সোজা কথায়, জয়ে দলের প্রত্যেকের ছিল অবদান। গণমাধ্যমে তামিম বলেছেন,‘আমার কাছে মনে হয় এটা কমপ্লিট গেম বাই এভরিওয়ান। এখানে সবার অবদান ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো একটা উদ্বোধনী জুটি হয়। সাকিব ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস খেলেছে। ইয়াসিরের ইনিংসটি অবিশ্বাস্য। রিয়াদ ভাইয়ের ছোট ২৫ রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আফিফের একটি চার ও একটি ছক্কা এবং মিরাজের দুইটি ছক্কাও সমান গুরুত্বের ছিল। একজন পয়েন্ট আউট করতে পারবো না যে ওর কারণেই জিতেছি। এটা এমন ম্যাচ ছিল যেখানে সবাই অবদান রেখেছে। সবারইৃ। ভালো ফিল্ডিং হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং হয়েছে। সব কিছুর দিক থেকে খুব খুশি।‘
বোলারদের থেকে নতুন বলে উইকেট প্রত্যাশা করছিলেন তামিম। শরিফুল ও তাসকিন দুজনই তাকে খুশি করেন। মিরাজ শুরুতে লাইন ও লেন্থ পেতে ভুগছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ধারালো আক্রমণে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বোলিং নিয়ে অধিনায়ক বলেছেন,‘বোলিংয়ে আমরা যখনই শুরুতে উইকেট পাই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা ম্যাচে আছি। কিন্তু এই মাঠ এমন যেখানে তিনশ রানও তাড়া করা যায়। কিন্তু পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছে এক কথায় রোমাঞ্চকর। মিরাজ যেভাবে ফিরে এসেছে তা দারুণ ছিল।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সুযোগ আছে সিরিজ জয়ের। একটি ম্যাচ হবে ওয়ান্ডারার্সে, একটি সেঞ্চুরিয়নেই। কাজটা কঠিন হবে তা মনে করিয়ে দিলেন তামিম,‘আমরা সিরিজটি জিততে পারি। এজন্য প্রতিটি সুযোগ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কারণ তারা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাইবে।’ ২০ মার্চ দুই দল আবার মাঠে নামবে। শেষ ওয়ানডে হবে ২৩ মার্চ।