ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরিতে বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে একটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভমিছিল করেছে হাজার হাজার মানুষ।
চীনা ক্যাম্পাস খোলা হলে হাঙ্গেরির নিজস্ব উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকিতে পড়বে এবং হাঙ্গেরির ওপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব বাড়বে বলে অভিযোগ তাদের।
বিবিসি জানায়, হাঙ্গেরির বর্তমান ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান সরকারের সঙ্গে বেইজিং এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ মাসের শুরুতে হংকংয়ে চীনের ভূমিকা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনামূলক একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছিল দিয়েছিল হাঙ্গেরি।
গত শনিবার বুদাপেস্টে চীনের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় মিছিল করে পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত গেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, “ভিক্টর ওরবান ও তার ডানপন্থি দল নিজেদের কমিউনিস্টবিরোধী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বাস্তবে কমিউনিস্টরা তাদের বন্ধু।” আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের জন্য সরকার যে তহবিলের পরিকল্পনা করেছে, সেটা বরং আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে খরচ করা উচিৎ।”
বুদাপেস্টে ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ১৮০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে ভিক্টর ওরবান সরকার দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য যত অর্থ ব্যয় করেছে, এ অঙ্ক তার চেয়েও বেশি। এই অর্থের মধ্যে দেড়শ’ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দেবে চীনের একটি ব্যাংক। এমনটিই দেখা গেছে হাঙ্গেরির একটি অনুসন্ধানী-সাংবাদিকতা কেন্দ্রের পাওয়া নথিপত্র থেকে।
হাঙ্গেরির একটি উদারপন্থি গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান রিপাবলিকন ইনস্টিটিউটের জরিপে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরির নাগরিকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই এই চীনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প সমর্থন করে না। বুদাপেস্টের মেয়র গের্গে কোরাচনিও এই চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে।
এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, যে জায়গায় ক্যাম্পাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেখানকার চারপাশের রাস্তাগুলো তিনি নামকরণ করবেন চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়াদের নামে।
চারটি নতুন রাস্তার মধ্যে একটির নাম রাখা হবে চীনে নিপীড়নের শিকার উইঘুরদের নামে ‘উইঘুর শহীদ রোড’। আরও দুটি রাস্তার নাম হবে ‘ফ্রি হংকং রোড’ এবং ‘দালাইলামা স্ট্রিট’। চীন অবশ্য বরাবরই কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় চীনের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। বুদাপেস্টে এই প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। এটি হবে ইইউয়ের ভেতরে চীনের প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ১১:৪১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে একটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভমিছিল করেছে হাজার হাজার মানুষ।
চীনা ক্যাম্পাস খোলা হলে হাঙ্গেরির নিজস্ব উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকিতে পড়বে এবং হাঙ্গেরির ওপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব বাড়বে বলে অভিযোগ তাদের।
বিবিসি জানায়, হাঙ্গেরির বর্তমান ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান সরকারের সঙ্গে বেইজিং এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ মাসের শুরুতে হংকংয়ে চীনের ভূমিকা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনামূলক একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছিল দিয়েছিল হাঙ্গেরি।
গত শনিবার বুদাপেস্টে চীনের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় মিছিল করে পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত গেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, “ভিক্টর ওরবান ও তার ডানপন্থি দল নিজেদের কমিউনিস্টবিরোধী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বাস্তবে কমিউনিস্টরা তাদের বন্ধু।” আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের জন্য সরকার যে তহবিলের পরিকল্পনা করেছে, সেটা বরং আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে খরচ করা উচিৎ।”
বুদাপেস্টে ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ১৮০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে ভিক্টর ওরবান সরকার দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য যত অর্থ ব্যয় করেছে, এ অঙ্ক তার চেয়েও বেশি। এই অর্থের মধ্যে দেড়শ’ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দেবে চীনের একটি ব্যাংক। এমনটিই দেখা গেছে হাঙ্গেরির একটি অনুসন্ধানী-সাংবাদিকতা কেন্দ্রের পাওয়া নথিপত্র থেকে।
হাঙ্গেরির একটি উদারপন্থি গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান রিপাবলিকন ইনস্টিটিউটের জরিপে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরির নাগরিকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই এই চীনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প সমর্থন করে না। বুদাপেস্টের মেয়র গের্গে কোরাচনিও এই চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে।
এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, যে জায়গায় ক্যাম্পাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেখানকার চারপাশের রাস্তাগুলো তিনি নামকরণ করবেন চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়াদের নামে।
চারটি নতুন রাস্তার মধ্যে একটির নাম রাখা হবে চীনে নিপীড়নের শিকার উইঘুরদের নামে ‘উইঘুর শহীদ রোড’। আরও দুটি রাস্তার নাম হবে ‘ফ্রি হংকং রোড’ এবং ‘দালাইলামা স্ট্রিট’। চীন অবশ্য বরাবরই কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ফুডান বিশ্ববিদ্যালয় চীনের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। বুদাপেস্টে এই প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। এটি হবে ইইউয়ের ভেতরে চীনের প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয়।