আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরবিন্দার মেয়র বুলেইমা বেরেম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এদিন সকালে পানি আনতে গিয়ে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে স্থানীয়রা, এতে অন্তত ৮ জন নিহত হয়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গিরা পানির টাওয়ার ও পাম্পগুলোতে হামলা চালানো শুরু করেছে। এটা তাদের নতুন কৌশল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বেরেম।
রোববার একই অঞ্চলের নামেনতেঙ্গা প্রদেশ পৃথক আরেক হামলার ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন মিলিটারি পুলিশের কর্মকর্তা রয়েছে বলে মিলিটারি পুলিশ জানিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার উদালন প্রদেশে অঘোষিত একটি সোনার খনিতে জঙ্গি হামলায় ৯ জন নিহত হয়।
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের ভূখ-ে ছড়ানো সাহেল অঞ্চলে বছরে পর বছর ধরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।
২০১২ সালে মালির মরুভূমি প্রধান উত্তরাঞ্চল জঙ্গিরা দখল করে নিয়েছিল। পরের বছর সেখান থেকে তারা দেশটির রাজধানী বামাকোতে অভিযান চালানোর লক্ষ্যে রওনা হলে ফ্রান্স হস্তক্ষেপ করে তাদের পিছু হটিয়ে দেয়। কিন্তু পরে বিদ্রোহীরা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে।
সাহেল অঞ্চলে তাদের হামলায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও ২০ লাখেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অঞ্চলটিতে কয়েক হাজার বিদেশি সেনার উপস্থিতি সত্ত্বেও হত্যাকা-ের ধারা অব্যাহত থাকায় নির্বাচিত সরকারের ওপর জনগণের আস্থা টলে গেছে।
সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় হতাশ জনতা বিক্ষোভ শুরু করলে জানুয়ারিতে বুরকিনা ফাসোতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। আর ২০২০ সালে সামরিক জান্তা মালির ক্ষমতা দখল করে।
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় তিন দিনে নিহত ৩২
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ