ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ইথিওপিয়ায় হামলা-পাল্টা হামলায় নিহত ৬৪

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার জাতিগত সহিংসতা কবলিত পশ্চিমাঞ্চলে অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ১১ জন। দেশটির সরকারের নিয়োগকৃত মানবাধিকার কমিশন রোববার এসব কথা জানিয়েছে। ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ২ মার্চ বেনিশাঙ্গুল-গামুজ অঞ্চলের মেটেকেল এলাকায় হামলার এ ঘটনাটি ঘটলেও তখন খবরটি প্রকাশিত হয়নি। একটি বেসামরিক বহরে ওই হামলাটি হয়। এরপর বহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাদের সঙ্গে হামলাকারীদের দিনভর বন্দুক লড়াই চলে। এতে ২০ সেনা, ৩ বেসামরিক ও ৩০ জন হামলাকারী নিহত হয়। পরদিন ৩ মার্চ নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজনদের আটক করে এনে সংক্ষিপ্ত বিচারের পর অনেককে হত্যা করে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি। একজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এসব ঘটনায় এদিন মোট ১১ জন নিহত হয়।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ হয়, তাতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের লাঠির সাহায্যে এক ব্যক্তিকে মৃতদেহের জ্বলন্ত একটি স্তূপের মধ্যে ঠেলে দিতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করার পর এ ঘটনা ঘটানো হয়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের অনেক সামরিক বাহিনীর উর্দি পরা ছিলেন। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর মানবাধিকার কমিশন ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। শনিবার ইথিওপীয় সরকার এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কমিশন জানিয়েছে, সরকারি সেনারা একটি বাস থামিয়ে সদ্য কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ৮ তিগ্রায়ান বেসামরিককে নামিয়ে আনে, এরাই আগের দিনের হামলাটির পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ করে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আটক করে মারধর করার পর গুলি করে মেরে ফেলে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় গুমুজ জাতির দুই ব্যক্তিকেও হত্যা করে তারা। এরপর সবার লাশ পুড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছে কমিশন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কমিশনকে বলেছেন, তারা সন্দেহভাজন ওই তিগ্রায়ানদের কাছে নগদ অর্থ ও স্যাটেলাইট ফোন পেয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আরেক তিগ্রায়ানকে খুঁজে পেয়ে তাকে তাকে হাত-পা বেঁধে আগুনে নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে ইথিওপিয়ার সেনাদের সঙ্গে আমহারা অঞ্চলের বাহিনী এবং সাউদার্ন নেশন্স ন্যাশনালিটিজ ও পিপলস রিজিয়নের উর্দিধারী বাহিনীগুলোও ছিল বলে জানিয়েছে কমিশন। তবে এসব বাহিনীর মধ্যে কারা বেসামরিকদের হত্যা করেছে কমিশন তা জানায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইথিওপিয়ায় হামলা-পাল্টা হামলায় নিহত ৬৪

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার জাতিগত সহিংসতা কবলিত পশ্চিমাঞ্চলে অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে আরও ১১ জন। দেশটির সরকারের নিয়োগকৃত মানবাধিকার কমিশন রোববার এসব কথা জানিয়েছে। ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ২ মার্চ বেনিশাঙ্গুল-গামুজ অঞ্চলের মেটেকেল এলাকায় হামলার এ ঘটনাটি ঘটলেও তখন খবরটি প্রকাশিত হয়নি। একটি বেসামরিক বহরে ওই হামলাটি হয়। এরপর বহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাদের সঙ্গে হামলাকারীদের দিনভর বন্দুক লড়াই চলে। এতে ২০ সেনা, ৩ বেসামরিক ও ৩০ জন হামলাকারী নিহত হয়। পরদিন ৩ মার্চ নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজনদের আটক করে এনে সংক্ষিপ্ত বিচারের পর অনেককে হত্যা করে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি। একজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এসব ঘটনায় এদিন মোট ১১ জন নিহত হয়।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ হয়, তাতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের লাঠির সাহায্যে এক ব্যক্তিকে মৃতদেহের জ্বলন্ত একটি স্তূপের মধ্যে ঠেলে দিতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করার পর এ ঘটনা ঘটানো হয়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের অনেক সামরিক বাহিনীর উর্দি পরা ছিলেন। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর মানবাধিকার কমিশন ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। শনিবার ইথিওপীয় সরকার এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কমিশন জানিয়েছে, সরকারি সেনারা একটি বাস থামিয়ে সদ্য কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ৮ তিগ্রায়ান বেসামরিককে নামিয়ে আনে, এরাই আগের দিনের হামলাটির পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ করে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আটক করে মারধর করার পর গুলি করে মেরে ফেলে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় গুমুজ জাতির দুই ব্যক্তিকেও হত্যা করে তারা। এরপর সবার লাশ পুড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছে কমিশন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কমিশনকে বলেছেন, তারা সন্দেহভাজন ওই তিগ্রায়ানদের কাছে নগদ অর্থ ও স্যাটেলাইট ফোন পেয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আরেক তিগ্রায়ানকে খুঁজে পেয়ে তাকে তাকে হাত-পা বেঁধে আগুনে নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে ইথিওপিয়ার সেনাদের সঙ্গে আমহারা অঞ্চলের বাহিনী এবং সাউদার্ন নেশন্স ন্যাশনালিটিজ ও পিপলস রিজিয়নের উর্দিধারী বাহিনীগুলোও ছিল বলে জানিয়েছে কমিশন। তবে এসব বাহিনীর মধ্যে কারা বেসামরিকদের হত্যা করেছে কমিশন তা জানায়নি।