ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শুরুর জুটির পর বনার-হোল্ডারের লড়াই

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সকালে জেডেন সিলসের ছোবল, দুপুরে ক্রেইস ব্র্যাথওয়েটের স্ট্রোকের ছটা, বিকেলে এনক্রমা বনার ও জেসন হোল্ডারের লড়াই, সবকিছুর যোগফল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিন। তুমুল লড়াইয়ের প্রথম দিন শেষে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনেও লড়াই জমে উঠল বেশ। দিনশেষে হাসি চওড়া বেশি ক্যারিবিয়ানদের।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ৩১১ রানে। বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ২০২। ইংল্যান্ড দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে। এ দিন আর বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা। দিনের পঞ্চম ওভারেই জোড়া ধাক্কায় ইংলিশদের নাড়িয়ে দেন সিলস। তার দুর্দান্ত এক শর্ট বল ক্রিস ওকসের গ্লাভসে ছোবল দিয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। নতুন ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ওভারটন দ্বিতীয় বলেই ধরা পড়েন শর্ট লেগে। ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা বেয়ারস্টো কয়েকটি বাউন্ডারিতে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকপাশে মার্ক উডকে ফিরিয়ে দেন আলজারি জোসেফ।
সঙ্গীদের হারিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় কাটা পড়েন বেয়ারস্টোও। জোসেফকে স্লগ করতে গিয়ে তিনি আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৪ উইকেটে এ দিন আর ৪৩ রান যোগ করতে পারে ইংলিশরা, ৩১ রানই করেন বেয়ারস্টো। তার দুর্দান্ত ইনিংস থামে ২৫৯ বলে ১৪০ রানে। ইংল্যান্ডের ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসল চমক দেয় ব্যাটিংয়ের শুরুতে। উইকেটে চিড় প্রকাশ্য হতে শুরু করেছে, বাউন্সও একটু অসমান। কিন্তু ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল আগ্রাসী শুরু করে চাপে ফেলে দেন ইংলিশ পেসারদের।
ব্র্যাথওয়েট এমনিতে খুবই ধীরস্থির ও সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার জন্য পরিচিতি হলেও এ দিন রান করতে থাকেন বলের সঙ্গে পাল্লা দেয়। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন ক্যাম্পবেলও। ১০ ওভারেই ৪৪ তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লাঞ্চের পরও আসতে থাকে ওভারপ্রতি চারের বেশি রান। ব্র্যাথওয়েট ফিফটি পূর্ণ করেন ৬২ বলে, তার ৭৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে যা দ্রুততম। আগের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফিফটি ছিল তার ৭০ বলে। ৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ক্যাম্পবেলের বিদায়ে। ওভারটনের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৬ চারে ৩৫ রান করা ক্যাম্পবেল। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। মার্ক উডের ১৪৭ কিলোমিটার গতির অনেক বাইরের বল তাড়া করে গালিতে ধরা পড়েন ব্র্যাথওয়েট (৭০ বলে ৫৫)। দারুণ শুরুর পর শামার ব্রুকস (১৮) আউট হন বেন স্টোকসের বলে আলগা শটে। প্রথম স্পেলে খরুচ বোলিংয়ের পর ওকস সাফল্য পান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফিরিয়ে। ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন নড়বড়ে। বনার ও হোল্ডারের লড়াই সেখান থেকেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করেন দুজন দারুণ দৃঢ়তায়। আলোকস্বল্পতায় যখন একটু আগেই শেষ হলো দিনের খেলা, দুজনের জুটিতে উঠে গেছে ততক্ষণে ৭৫। লিড পাওয়ার আশাও হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ১০০.৩ ওভারে ৩১১ (আগের দিন ২৬৮/৬) (বেয়ারস্টো ১৪০, ওকস ২৮, ওভারটন ০, উড ১, লিচ ৪; রোচ ২১-৩-৮৬-২, সিলস ২২-৬-৭৯-৪, হোল্ডার ২১-১১-২৪-২, জোসেফ ২০.৩-২-৭০-২, পেরমল ১৩-৪-৩৫-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-১-৭-০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৬৬.৫ ওভারে ২০২/৪ (ব্র্যাথওয়েট ৫৫, ক্যাম্পবেল ৩৫, ব্রুকস ১৮, বনার ৩৪, ব্ল্যাকউড ১১, হোল্ডার ৪৩*; ওকস ১২-২-৫৪-১, ওভারটন ১৬-৩-৫৮-১, উড ১২-৩-২৪-১, লিচ ১৫.৫-৯-২৯-০, স্টোকস ৯-০-২০-১, রুট ২-০-১৪-০)

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদের দাবি

শুরুর জুটির পর বনার-হোল্ডারের লড়াই

আপডেট সময় : ১২:৫২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সকালে জেডেন সিলসের ছোবল, দুপুরে ক্রেইস ব্র্যাথওয়েটের স্ট্রোকের ছটা, বিকেলে এনক্রমা বনার ও জেসন হোল্ডারের লড়াই, সবকিছুর যোগফল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিন। তুমুল লড়াইয়ের প্রথম দিন শেষে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনেও লড়াই জমে উঠল বেশ। দিনশেষে হাসি চওড়া বেশি ক্যারিবিয়ানদের।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ৩১১ রানে। বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ২০২। ইংল্যান্ড দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে। এ দিন আর বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা। দিনের পঞ্চম ওভারেই জোড়া ধাক্কায় ইংলিশদের নাড়িয়ে দেন সিলস। তার দুর্দান্ত এক শর্ট বল ক্রিস ওকসের গ্লাভসে ছোবল দিয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। নতুন ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ওভারটন দ্বিতীয় বলেই ধরা পড়েন শর্ট লেগে। ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা বেয়ারস্টো কয়েকটি বাউন্ডারিতে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকপাশে মার্ক উডকে ফিরিয়ে দেন আলজারি জোসেফ।
সঙ্গীদের হারিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় কাটা পড়েন বেয়ারস্টোও। জোসেফকে স্লগ করতে গিয়ে তিনি আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৪ উইকেটে এ দিন আর ৪৩ রান যোগ করতে পারে ইংলিশরা, ৩১ রানই করেন বেয়ারস্টো। তার দুর্দান্ত ইনিংস থামে ২৫৯ বলে ১৪০ রানে। ইংল্যান্ডের ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসল চমক দেয় ব্যাটিংয়ের শুরুতে। উইকেটে চিড় প্রকাশ্য হতে শুরু করেছে, বাউন্সও একটু অসমান। কিন্তু ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল আগ্রাসী শুরু করে চাপে ফেলে দেন ইংলিশ পেসারদের।
ব্র্যাথওয়েট এমনিতে খুবই ধীরস্থির ও সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার জন্য পরিচিতি হলেও এ দিন রান করতে থাকেন বলের সঙ্গে পাল্লা দেয়। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন ক্যাম্পবেলও। ১০ ওভারেই ৪৪ তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লাঞ্চের পরও আসতে থাকে ওভারপ্রতি চারের বেশি রান। ব্র্যাথওয়েট ফিফটি পূর্ণ করেন ৬২ বলে, তার ৭৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে যা দ্রুততম। আগের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফিফটি ছিল তার ৭০ বলে। ৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ক্যাম্পবেলের বিদায়ে। ওভারটনের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৬ চারে ৩৫ রান করা ক্যাম্পবেল। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। মার্ক উডের ১৪৭ কিলোমিটার গতির অনেক বাইরের বল তাড়া করে গালিতে ধরা পড়েন ব্র্যাথওয়েট (৭০ বলে ৫৫)। দারুণ শুরুর পর শামার ব্রুকস (১৮) আউট হন বেন স্টোকসের বলে আলগা শটে। প্রথম স্পেলে খরুচ বোলিংয়ের পর ওকস সাফল্য পান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফিরিয়ে। ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন নড়বড়ে। বনার ও হোল্ডারের লড়াই সেখান থেকেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করেন দুজন দারুণ দৃঢ়তায়। আলোকস্বল্পতায় যখন একটু আগেই শেষ হলো দিনের খেলা, দুজনের জুটিতে উঠে গেছে ততক্ষণে ৭৫। লিড পাওয়ার আশাও হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ১০০.৩ ওভারে ৩১১ (আগের দিন ২৬৮/৬) (বেয়ারস্টো ১৪০, ওকস ২৮, ওভারটন ০, উড ১, লিচ ৪; রোচ ২১-৩-৮৬-২, সিলস ২২-৬-৭৯-৪, হোল্ডার ২১-১১-২৪-২, জোসেফ ২০.৩-২-৭০-২, পেরমল ১৩-৪-৩৫-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-১-৭-০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৬৬.৫ ওভারে ২০২/৪ (ব্র্যাথওয়েট ৫৫, ক্যাম্পবেল ৩৫, ব্রুকস ১৮, বনার ৩৪, ব্ল্যাকউড ১১, হোল্ডার ৪৩*; ওকস ১২-২-৫৪-১, ওভারটন ১৬-৩-৫৮-১, উড ১২-৩-২৪-১, লিচ ১৫.৫-৯-২৯-০, স্টোকস ৯-০-২০-১, রুট ২-০-১৪-০)