ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বিএনপির ব্যবসায়ীরা চক্রান্ত করে পণ্য মজুত করেন: তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিএনপির ব্যবসায়ীরা চক্রান্ত করে অনেক সময় পণ্য মজুত করে মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভা চলাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে অনেক পণ্যের মূল্য বেড়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকটি পণ্যের মূল্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। একই সঙ্গে কম আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, এ জন্য টিসিবির আওতা বাড়ানো হয়েছে। এক কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন, এটা সত্যি। এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক সময় পরিস্থিতির সুযোগ নেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগ বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের চক্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক সময় পণ্য মজুত করেন। মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালান।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই দ-প্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তাঁদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালির সব অর্জন এসেছে। যে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু এই দেশ সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে পৃথিবীর তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। এটা সম্ভব হয়েছে কোনো জাদুর কারণে নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে। ১৩ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেই কারণেই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আর এই কারণে বিএনপিসহ তাদের দোসররা শঙ্কিত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। আগামী নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় তারা এখন নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই দ-প্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তাঁদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য হোসনে আরা লুৎফা, সফুরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপির ব্যবসায়ীরা চক্রান্ত করে পণ্য মজুত করেন: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিএনপির ব্যবসায়ীরা চক্রান্ত করে অনেক সময় পণ্য মজুত করে মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভা চলাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে অনেক পণ্যের মূল্য বেড়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকটি পণ্যের মূল্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। একই সঙ্গে কম আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, এ জন্য টিসিবির আওতা বাড়ানো হয়েছে। এক কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন, এটা সত্যি। এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক সময় পরিস্থিতির সুযোগ নেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগ বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের চক্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক সময় পণ্য মজুত করেন। মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালান।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই দ-প্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তাঁদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালির সব অর্জন এসেছে। যে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু এই দেশ সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে পৃথিবীর তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। এটা সম্ভব হয়েছে কোনো জাদুর কারণে নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে। ১৩ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেই কারণেই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আর এই কারণে বিএনপিসহ তাদের দোসররা শঙ্কিত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। আগামী নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় তারা এখন নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই দ-প্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তাঁদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে তাঁদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য হোসনে আরা লুৎফা, সফুরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত উপস্থিত ছিলেন।