নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় ভবন নির্মাণের নকশায় সিটি করপোরেশনের অনুমতি লাগবে না, তবে ভবনটি কোথায় নির্মাণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে তাদের সম্মতি লাগবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বছরের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি বলেন, “রাজউক থেকে ভবনের নকশা এবং স্থাপত্য বিষয়ক বিষয়গুলোর অনুমোদন নিতে হবে। আর সিটি করপোরেশনের কাজ থেকে নিতে হবে ওই ভবনটি কোন স্থানে করা হচ্ছে সে বিষয়ে।” এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এক সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছিলেন, যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের আগে রাজউকের পাশাপাশি দুই্ সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন পেতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে মেয়রদেরও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মো. তাজুল ইসলাম। বর্তমানে ঢাকায় কোনো ভবন নির্মাণের আগে রাজউকের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু রাজউকের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের অনুমোদন লাগলে তাতে ‘দ্বৈত শাসন’ তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। ঢাকায় ভবন নির্মাণে রাজউক কিংবা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে যে কোনো একটি সংস্থাকে ‘অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে রাখার দাবি জানিয়ে রিহ্যাবের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, দুই সংস্থার অনুমতি নিতে হলে ভোগান্তিই কেবল বাড়বে।
এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তার আগের বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, দুই জায়গা থেকে একইরকম অনুমতি লাগবে না। “সিটি করপোরেশন থেকে ভবনের আর্কিটেচারাল বা স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের জন্য পারমিশন নিতে হবে না। একটা জায়গায় নিতে হবে যে, নির্ধারিত জায়গায় ভবনটি হচ্ছে কিনা।” এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “কাগজে দেখানো হয়েছে একটা জায়গা, এই বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে। এখন ওই বিল্ডিংটি ওই জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে কিনা, ওই ভবনটির যে প্ল্যান আছে সে প্ল্যান অুনযায়ী হচ্ছে কি না-তা যদি কেউ দেখাশোনা না করে তাহলে কি শহর কি বসবাসের উপযোগী থাকবে?”
ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নয়, অবহিত করতে হবে
জনপ্রিয় সংবাদ