ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

পকেটে হাজার হাজার টাকা তবুও মিলছে না খাবার

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :‘দুদিন আগে কারফিউ শেষে দিনের বেলায় খাবার কিনতে কিয়েভের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যাই। স্টোরটির বাইরে তখন মানুষের দীর্ঘলাইন। সবার চোখেমুখে আতংক। সবার মনে আশঙ্কা, এই বুঝি হামলা হলো, প্রাণটি গেলো। প্রায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ভেতরে ঢুকি তখন দেখি খাবারের সব তাক প্রায় শূন্য। শেষ পর্যন্ত দুটি পাউর“টি পাই। কিš‘ তখন বাঙ্কারে অপেক্ষা করছিলেন কমপক্ষে ৩০ জন মানুষ।’ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইউক্রেনের কিয়েভের নাগরিক মিঠু গতকাল বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে এভাবেই সেখানকার পরি¯ি’তি বর্ণনা করেন।
মিঠু বলেন, খুবই আতংকের মধ্যে আছি। রাতে ঘুম হয় না। খাবারের নিদার“ণ সংকট দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরি¯ি’তির কারণে নতুন করে খাদ্যপণ্য মজুদ না হওয়ায় দোকানপাট ও হাটবাজারে খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের পকেটে হাজার হাজার টাকা থাকলেও খাবার পাওয়া যা”েছ না। সামনের দিনগুলোতে খাদ্যসংকট আরও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটে। ইউক্রেনে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা প্রাণ রক্ষার্থে পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে ছুটে যান। তাদের কেউ গাড়িতে, কেউ ট্রেনে আবার কেউবা মাইলের পর মাইল হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্তে যান। কিয়েভে বাস করা হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক বলেন, গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ে খাদ্যসামগ্রীর নিদার“ণ সংকট তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দোকানপাটে যেখানে মালামালে ঠাসা থাকতো এখন সেখানে মালামালশূন্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পকেটে হাজার হাজার টাকা তবুও মিলছে না খাবার

আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :‘দুদিন আগে কারফিউ শেষে দিনের বেলায় খাবার কিনতে কিয়েভের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যাই। স্টোরটির বাইরে তখন মানুষের দীর্ঘলাইন। সবার চোখেমুখে আতংক। সবার মনে আশঙ্কা, এই বুঝি হামলা হলো, প্রাণটি গেলো। প্রায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ভেতরে ঢুকি তখন দেখি খাবারের সব তাক প্রায় শূন্য। শেষ পর্যন্ত দুটি পাউর“টি পাই। কিš‘ তখন বাঙ্কারে অপেক্ষা করছিলেন কমপক্ষে ৩০ জন মানুষ।’ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইউক্রেনের কিয়েভের নাগরিক মিঠু গতকাল বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে এভাবেই সেখানকার পরি¯ি’তি বর্ণনা করেন।
মিঠু বলেন, খুবই আতংকের মধ্যে আছি। রাতে ঘুম হয় না। খাবারের নিদার“ণ সংকট দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরি¯ি’তির কারণে নতুন করে খাদ্যপণ্য মজুদ না হওয়ায় দোকানপাট ও হাটবাজারে খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের পকেটে হাজার হাজার টাকা থাকলেও খাবার পাওয়া যা”েছ না। সামনের দিনগুলোতে খাদ্যসংকট আরও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটে। ইউক্রেনে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা প্রাণ রক্ষার্থে পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে ছুটে যান। তাদের কেউ গাড়িতে, কেউ ট্রেনে আবার কেউবা মাইলের পর মাইল হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্তে যান। কিয়েভে বাস করা হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক বলেন, গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ে খাদ্যসামগ্রীর নিদার“ণ সংকট তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দোকানপাটে যেখানে মালামালে ঠাসা থাকতো এখন সেখানে মালামালশূন্য।