ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেনের ৫ ঘণ্টা আলোচনায় যা হলো

  • আপডেট সময় : ০২:২৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পেরেছে দুই পক্ষ। গতকাল সোমবার বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদলের প্রথম দফার বৈঠকে বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি করেন তাঁরা। পরবর্তী দফার বৈঠকের আগে এগুলো নিয়ে শলাপরামর্শ করতে আবারও একত্র হবেন তাঁরা। গতকাল বৈঠক শেষে ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রুশ গণমাধ্যম আরটির। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা করা। সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে কয়েকটি অগ্রাধিকারের বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই পক্ষ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও বলেন, যেসব বিষয়ের ওপর ভর করে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেসব বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল।
গত সোমবার রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। মেদিনস্কি বলেন, বেলারুশ ও পোল্যান্ডের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চলে পরবর্তী দফার বৈঠক হবে।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। তাঁদের মূল দাবি ছিল, অবিলম্বে অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানো এবং ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া।

এর আগে গত রোববার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, সত্যিকার অর্থে আলোচনা সফল হবে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। তবে এর মধ্য দিয়ে খানিকটা হলেও উত্তেজনা কমার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি। আর সোমবার দুই পক্ষের প্রতিনিধিদলের আলোচনা চলার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান জেলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য কিয়েভকে সমরাস্ত্রমুক্ত ও নাৎসিদের প্রভাবমুক্ত করা জরুরি। ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা সমর্থকদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়ার অর্থনীতি, পুতিন ও জেষ্ঠ্য রুশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাশিয়া-ইউক্রেনের ৫ ঘণ্টা আলোচনায় যা হলো

আপডেট সময় : ০২:২৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পেরেছে দুই পক্ষ। গতকাল সোমবার বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদলের প্রথম দফার বৈঠকে বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি করেন তাঁরা। পরবর্তী দফার বৈঠকের আগে এগুলো নিয়ে শলাপরামর্শ করতে আবারও একত্র হবেন তাঁরা। গতকাল বৈঠক শেষে ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রুশ গণমাধ্যম আরটির। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা করা। সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে কয়েকটি অগ্রাধিকারের বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই পক্ষ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও বলেন, যেসব বিষয়ের ওপর ভর করে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেসব বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল।
গত সোমবার রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। মেদিনস্কি বলেন, বেলারুশ ও পোল্যান্ডের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চলে পরবর্তী দফার বৈঠক হবে।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। তাঁদের মূল দাবি ছিল, অবিলম্বে অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানো এবং ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া।

এর আগে গত রোববার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, সত্যিকার অর্থে আলোচনা সফল হবে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। তবে এর মধ্য দিয়ে খানিকটা হলেও উত্তেজনা কমার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি। আর সোমবার দুই পক্ষের প্রতিনিধিদলের আলোচনা চলার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান জেলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য কিয়েভকে সমরাস্ত্রমুক্ত ও নাৎসিদের প্রভাবমুক্ত করা জরুরি। ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা সমর্থকদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়ার অর্থনীতি, পুতিন ও জেষ্ঠ্য রুশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ।