ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কৃষির উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ কোটি ডলারের প্রকল্প আসছে

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদনের উন্নয়ন ঘটাতে নতুন একটি প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
গত সোমবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য) মার্টিন ভ্যান নিউকোপ এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনলজি প্রজেক্ট (এনএনটিপি) নামের একটি প্রকল্প ছিল। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয় ছিল।
“২০২৩ সালের জুনে ওই প্রকল্প শেষ হবে। বাংলাদেশে সরকার অনুরোধ করেছিল যেন এই প্রকল্প শেষ হলে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকে। দানাদার খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সেটা তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল।”
সেই অনুরোধে ৫০ কোটি ডলারের এই যৌথ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মূল বিষয় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মানুষ বাড়ছে, সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়াতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।”
বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রেখে চলছে। প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মসূচি রয়েছে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি নির্ভর। শিল্পের কাঁচামালেও কৃষির ভূমিকা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার কথা এলন রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল মিলে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে প্রকল্পের কর্ম পরিসীমা নির্ধারণ করা হবে। যত দ্রুত প্রকল্প চূড়ান্ত করা হবে, তত দ্রুত অর্থ ছাড় করবে বিশ্ব ব্যাংক।
নতুন অর্থায়ন থেকে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়া হবে বল্রে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
“আমাদের চলমান কর্মসূচিগুলো তারা দেখেছে। অ্যাগ্রো প্রসেসিং ও অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চাচ্ছে তারা। স্কয়ার, এসিআই, প্রাণ, মেঘনা গ্রুপের মত প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রকল্পে থাকবে।“ বেসরকারি বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কৃষিখাতে গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা থাকবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিশ্ব্য বাংক প্রতিনিধি নিউকোপ বলেন, “আমরা সাপ্লাই চেইনে গ্রামের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বড় কোম্পানিগুলোর সংযোগ ঘটানোর কাজটি করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত এলাকায় সহযোগিতা থাকবে। উচ্চ মূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদনেও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতা।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কৃষির উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ কোটি ডলারের প্রকল্প আসছে

আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদনের উন্নয়ন ঘটাতে নতুন একটি প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
গত সোমবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য) মার্টিন ভ্যান নিউকোপ এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনলজি প্রজেক্ট (এনএনটিপি) নামের একটি প্রকল্প ছিল। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয় ছিল।
“২০২৩ সালের জুনে ওই প্রকল্প শেষ হবে। বাংলাদেশে সরকার অনুরোধ করেছিল যেন এই প্রকল্প শেষ হলে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকে। দানাদার খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সেটা তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল।”
সেই অনুরোধে ৫০ কোটি ডলারের এই যৌথ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মূল বিষয় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মানুষ বাড়ছে, সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়াতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।”
বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রেখে চলছে। প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মসূচি রয়েছে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি নির্ভর। শিল্পের কাঁচামালেও কৃষির ভূমিকা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার কথা এলন রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল মিলে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে প্রকল্পের কর্ম পরিসীমা নির্ধারণ করা হবে। যত দ্রুত প্রকল্প চূড়ান্ত করা হবে, তত দ্রুত অর্থ ছাড় করবে বিশ্ব ব্যাংক।
নতুন অর্থায়ন থেকে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়া হবে বল্রে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
“আমাদের চলমান কর্মসূচিগুলো তারা দেখেছে। অ্যাগ্রো প্রসেসিং ও অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চাচ্ছে তারা। স্কয়ার, এসিআই, প্রাণ, মেঘনা গ্রুপের মত প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রকল্পে থাকবে।“ বেসরকারি বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কৃষিখাতে গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা থাকবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিশ্ব্য বাংক প্রতিনিধি নিউকোপ বলেন, “আমরা সাপ্লাই চেইনে গ্রামের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বড় কোম্পানিগুলোর সংযোগ ঘটানোর কাজটি করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত এলাকায় সহযোগিতা থাকবে। উচ্চ মূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদনেও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতা।”